‘প্রশ্ন ফাঁস’-এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদের পরীক্ষা পিছিয়ে গেলেও তা নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে চরম হয়রানি হল কয়েকশো শিক্ষক-শিক্ষিকার। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারি ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের শিলিগুড়ি অফিস থেকে সর্বত্র জানানো হয়নি বলেই হয়রানি হয়েছে। সকালে মাদাতি এলাকায় একটি স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর পৌঁছয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের কাছে। ওই স্কুলে যাঁদের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল, তাঁদের অনেকেই ছোটাছুটি শুরু করেন। পরীক্ষা হবে না জেনে অনেকে স্কুলে গিয়েছিলেন। তাঁরা স্কুল ছেড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে রওনা হন। কিন্তু, পরে জানতে পারেন, পরীক্ষা সত্যিই বাতিল হয়েছে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূলের শিলিগুড়ির পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা। তিনি বলেন, “শিলিগুড়ির প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কী করছেন? যেখানে পরীক্ষা বাতিল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, সেখানে সব পরীক্ষা কেন্দ্রে কেন উনি চিঠি পাঠাননি? তা হলে হয়রানি হতো না।” রঞ্জনবাবুর দাবি, “হয়রানির দায় নিয়ে শিলিগুড়ির প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন অনেকেই। আমরা বিষয়টি সব স্তরে জানিয়ে দিয়েছি।”
যদিও অভিযোগ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মুকুল কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি খবর পাওয়ার পরেই সমস্ত সংবাদমাধ্যম মারফত খবরটি ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করি। জানিয়ে দেওয়া হয় সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিকেও। কে কি বলছে তা নিয়ে আমি ভাবি না। আমি কিছু বলতে চাই না।” |