গোটা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডাকা জনসভা লোকসভার নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ হয়ে উঠল। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে ভাটিবাড়ি, কুমারগ্রামে বামফ্রন্টের দুটি জনসভায় লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। এ দিন তিনি বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের এখন সব মানুষের কাছে যেতে হবে, তাঁদের কথা শুনতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে কেন বাম প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করাতে হবে।” দুটি সভাতেই জনপ্রতিনিধিদের কেনার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “ঘোড়া কেনার মত জনপ্রতিনিধিদের কেনা হচ্ছে। এসব বাংলার রাজনীতিতে কোনও কালে ছিল না। এ সব মানুষ ভাল ভাবে নিচ্ছেন না।” মূখ্যমন্ত্রীকে আদিবাসীদের দেওয়া ‘সিঙ্গি দাই’ বা বীরাঙ্গনা সন্মানের সমালোচনা করে বিমান বলেন, “লাভপুরে আদিবাসী তরণী গণধর্ষিতা হয়েছেন। আদিবাসীর উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা খরচ করা হচ্ছে না। চা শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে না। এর পরেও আদিবাসীদের কয়েক জন তাঁকে বীরাঙ্গনা সন্মান দিয়েছেন তাই আদিবাসীদের বলছি, আপনারা এই নিয়ে একটু ভাবুন।” এই মঞ্চ থেকেই চিটফান্ড কান্ডের সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান। এছাড়া বিমানবাবু বলেন, “ইউপিএ, এনডিএ বিদেশী সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিপতিদের স্বার্থ দেখে নীতি তৈরী করেন। দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ তাঁরা দেখে না। তাই আপনাদেরই চিনে নিতে হবে কে শত্রু আর কে মিত্র।” এ দিনের জনসভায় বিমান বসু ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আরএসপি সাংসদ মনোহর তিরকে, সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায়,আরএসপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সুনীল বনিক, নির্মল দাস প্রমুখকে। সিপিআই ও ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতাদের মঞ্চে দেখা যায়নি। |