ডিভিসি-র তাপবিদ্যুত্ প্রকল্পে জমি মালিকদের একাংশের আন্দোলনের পাশে এ বার প্রকাশ্যে এসে দাঁড়াল বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নিতুড়িয়ার রায়বাঁধ এলাকায় জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ জানিয়ে গেলেন, এই এলাকায় নায্য দাবিতে আন্দোলন করছেন জমিহারারা। বিজেপি তাঁদের পাশে রয়েছে।
ডিভিসি-র নির্মীয়মান তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রর অদূরে রায়বাঁধ গ্রামে ‘রায়বাঁধ গুনিয়াড়া অঞ্চলের জমিহারাদের নায্য দাবির সমর্থনে জনসভা’র ডাক দিয়েছিল বিজেপি। ওই সভায় রাহুলবাবু বলেন, “এই এলাকার জমি আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি। কারণ এখানকার জমিহারারা কখনই বলেননি, তাঁরা শিল্প গড়তে দেবেন না। তাঁরা কর্মসংস্থান-সহ নায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন।”
প্রকল্পে জলের পাইপ লাইন পাতার কাজে বারবার বাধা এসেছে স্থানীয় জমিমালিকদের একাংশের কাছ থেকে। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপে কাজ শুরু হলেও বিজেপি নেতাদের মদতে আন্দোলন হয়ে কাজ বন্ধ হওয়ার নজির রয়েছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই প্রকাশ্যে সভা করে বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্বের জমিহারাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর ঘটনা জমিহারাদের একাংশের আন্দোলনকে মদত জোগাবে বলে অভিযোগ শাসকদল তৃণমূলের।
রায়বাঁধ এলাকায় বিজেপি-র সংগঠন রয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে এই পঞ্চায়েত চালাচ্ছে বিজেপি। রঞ্চায়েত প্রধানও তাদের দলেরই। আবার এ দিনের সভায় বিজেপি-র মঞ্চে দেখা দিয়েছে ‘জমি রক্ষা কংগ্রাম কমিটি’র নেতা-কর্মীদের। কমিটির নেতা নিখিল মণ্ডল সভায় বক্তব্যও রাখেন। সভাস্থলে কমিটির কর্মী সমর্থকদের ভাল সংখ্যায় উপস্থিতিও ছিল। ফলে জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কমিটিকে নিজেদের দিকে টেনে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রভাব বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে শিল্পায়ন নিয়ে ডিভিসি-র প্রকল্পে জমিহারাদের বঞ্চিত করার অভিযোগ তুললেও সচেতন ভাবে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে অভিযুক্ত করার পথে যায়নি বিজেপি-র নেতারা। রাহুলবাবু বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করছে। কিন্তু কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত না করে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে, যে ভাবে এলাকার কৃষকদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে, তা আমরা সমর্থন করতে পারি না।” |