প্রণতি সিংহ, অধ্যক্ষ
|
আমি ২০০১ সালে কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজে যোগ দেওয়ার
প্রথম দিন চুড়িদার পরে এসেছিলাম। ২০১৪ সালে দাঁড়িয়ে এই
নিয়ে বিতর্ক হওয়াটাই
অবাঞ্ছিত মনে হচ্ছে। পঞ্জাব ও হরিয়ানার
মহিলারা সকলেই
তো চুড়িদার পরেন।
চুড়িদার অশালীন কোন আঙ্গিকে? |
রতন মণ্ডল, প্রধান শিক্ষক
|
আমাদের স্কুলে আট জন শিক্ষিকা আছেন। তিন জন শাড়ি পরেন,
বাকি পাঁচ জন কখনও শাড়ি, কখনও চুড়িদার। তাঁদের পোশাক নিয়ে
কখনওই আলাদা কিছু ভাবিনি। পোশাক নিয়ে ফতোয়া হাস্যকর।
তবে, স্থানীয় মানুষের
মতামত ও সংস্কৃতির
প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত শিক্ষিকাদের। |
অর্চনা ঘোষ সরকার, সংসদ সভাপতি
|
পোশাক নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞাই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে,
স্থান-কাল দেখে শিক্ষিকাদের পোশাক বাছা উচিত। গ্রামের
লোক শিক্ষিকাদের শাড়ির বাইরে অন্য পোশাকে
মেনে
নিতে পারেন না। এই মানসিকতার পরিবর্তন যেমন দরকার,
শিক্ষিকাদেরও তেমন স্থানীয় আবেগের মর্যাদা দিতে হবে। |
স্নেহা পাল, অভিভাবিকা
|
পোশাক নিয়ে ফতোয়া একেবারেই মধ্যযুগীয়। তাছাড়া চুড়িদার
যথেষ্ট শালীন পোশাক। বাসে, ট্রেনে চুড়িদার পরে আসতে সুবিধা
হয়। আমরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাই পড়াশোনা করার
জন্য। দিদিমণিদের পোশাক না দেখে তাদের উচিত
তিনি কী শিক্ষা দিলেন, সেটা গ্রহণ করা। |
|