কাকা নন। মারিও বালোতেলিও নন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের যুদ্ধে শেষ হাসি হাসল দিয়েগো কোস্তার আটলেটিকো মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে এসি মিলানকে ১-০ হারাল আটলেটিকো মাদ্রিদ। ওই দিয়েগো কোস্তার গোলে।
ঘরের মাঠ সান সিরোতে ‘হাইভোল্টেজ’ লড়াইয়ে মাইকেল এসিয়েনকে মাঝমাঠে রেখে কাকা সহ মারিও বালোতেলিকে নিয়েই প্রথম দল সাজান মিলান কোচ ক্ল্যারেন্স সিডর্ফ। প্রথমার্ধে অনেক সুযোগ তৈরি করলেও, গোলের মুখ দেখতে পায়নি মিলান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ম্যাচের ছবি পাল্টায়নি। কিন্তু ৮৩ মিনিটে কোস্তার গোলের সাহায্যে অ্যাওয়ে গোল সমেত ১-০ জয় পায় আটলেটিকো।
প্রথম পর্বে হারলেও, দলের খেলায় খুশি, সেই কথাই জানালেন মিলান কোচ ক্ল্যারেন্স সিডর্ফ। বলেন, “সবাই দেখেছে আমার ফুটবলাররা মাঠে কীরকম খেলেছে। আমি খুব গর্বিত ওদের জন্য। ” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “ম্যাচের শেষ কুড়ি মিনিট আমাদের খেলার ছন্দপতন হয়। সবাই জানে নকআউট পর্বে একটা ভুল মানেই ছিটকে যাওয়া। গোল খাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক ছিল। কিন্তু কী আর করা যাবে।” ঘরের মাঠে হারের স্বাদ পাওয়া ছাড়াও আবার চোট পেলেন মিলানের তারকা স্ট্রাইকার মারিও বালোতেলি। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ঘাড়ের ব্যথায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ‘সুপার মারিও’। ইতালীয় প্রচারমাধ্যমের মতে, বালোতেলির চোটের পরীক্ষা হওয়ার পরেই জানা যাবে, কত দিন মাঠের বাইরে থাকবেন তিনি। কিন্তু জল্পনা হল দ্বিতীয় পর্বের আগেই আবার দলে ফিরতে চলেছে ইতালীর তারকা স্ট্রাইকার। যার প্রার্থনা করে বালোতেলি টুইট করেন, “আশা করছি চোট অত গুরুতর নয়।”
অন্য দিকে অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতলেও দলকে আরও উন্নতি করার বার্তা দিলেন আটলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে। “আমরা জানতাম যে খুব ভাল একটা দলের সঙ্গে খেলতে নামছি। প্রথমার্ধে খুব ভাল খেলেছে মিলান।” সিমিওনির মতে দ্বিতীয়ার্ধে ভুল শুধরে নেওয়াটাই জয়ের আসল কারণ ছিল। “দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের খেলার উন্নতি হয়। বালোতেলি ও কাকার মতো ফুটবলারদের আমরা আটকেও দিই। মাঝমাঠের লড়াইয়ে টেক্কা দিয়ে যাই ওদের। ও ভাবেই একটা সুযোগ এসেছে যা কাজে লাগিয়েই ভাল ফল আসে,” বলেন সিমিওনি। |