বাংলা দলের প্রস্তুতি শিকেয় ওঠা সত্ত্বেও যে প্রথম ডিভিশন লিগ ম্যাচই সিএবি-র কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা ফের বুঝিয়ে দিল বঙ্গ ক্রিকেটের শাসক সংস্থা। শুক্রবার ইডেনে নক আউটের ম্যাচ রেখে। বাংলা নেট প্র্যাকটিস করবে কোথায়, সে কথা ভাবা হল না একবারও। অশোক-লক্ষ্মীরা তাঁদের প্র্যাকটিস দেড় ঘন্টা এগিয়ে নিতে বাধ্য হলেন।
বৃহস্পতিবার ইডেনে লক্ষ্মীদের নেট প্র্যাকটিস শেষ করতে হবে ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান ম্যাচ শুরুর আগে। যে ম্যাচ ইডেন থেকে অন্য কোনও মাঠে অনায়াসে সরানো যেত, তার চেষ্টাই হল না সিএবি-তে। স্বাভাবিক ভাবেই শুধু বিরক্ত নন বাংলার ক্যাপ্টেন, কোচরা। হতাশও। ভাঙা দল নিয়েও রঞ্জির সেমিফাইনাল খেলে আসা বাংলার প্র্যাকটিস যে সিএবি-র কাছে এত ব্রাত্য হয়ে উঠবে, তা তাঁরা ভাবতেই পারছেন না।
বৃহস্পতিবার ইডেনে বাংলার নেটে ছিলেন মাত্র তিন ক্রিকেটার—লক্ষ্মীরতন শুক্ল, মনোজ তিওয়ারি ও অশোক দিন্দা। কোনও দলের অপশনাল নেটেও এত কম উপস্থিতির নজির বিরল। কিন্তু বাংলার এমনই বেহাল অবস্থা। |
বিজয় হাজারের প্রস্তুতি। ইডেনে বাংলার প্র্যাকটিসে মনোজ, লক্ষ্মী ও দিন্দা। ছবি: উৎপল সরকার। |
যা দেখেশুনে হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকা কোচ অশোক মলহোত্র বলছেন, “সিএবি-র কর্তারা যদি কিছু না করেন, তা হলে আমি কী করতে পারি? এখন মনে হচ্ছে রাঁচি যাওয়ার আগে পুরো দল একসঙ্গে দু’দিনের বেশি অনুশীলন পাব না।” দলের বাকিরা ক্লাবের ম্যাচে। এর মধ্যে মোহনবাগানের দেবব্রত দাস এ দিন ৪৪ বলে সেঞ্চুরি করেন ওয়াইএমসিএ-র মাঠে। আটটা ছয় ও আটটা চার মেরে। বৃহস্পতিবার মোহনবাগানের ম্যাচ নেই। তাদের পাঁচ ক্রিকেটার হয়তো বাংলার প্র্যাকটিসে থাকবেন। কিন্তু সেই প্র্যাকটিস ঠিকমতো হবে কি না, তা-ই জানা নেই কারও।
অশোক দু’দিন আগে রাঁচি যাওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাও নাকচ করে দিয়েছে সিএবি। সব দেখেশুনে সিএবি-র উপরমহলেই এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত যেমন বলেই দিলেন, “যা হচ্ছে, তা মোটেই ঠিক না। এই যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তা সহজেই এড়ানো যেত। এ জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারিদের আর একটু তৎপর হওয়া উচিত ছিল। বাংলা দল ও লিগ ম্যাচদুটোই তো সিএবি-র ব্যাপার। সবাই মিলে বসে এটা ঠিকঠাক করে নেওয়া যেত। এটা আসলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবের জন্যই ঘটল।” |