দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে থেকেই গোটা বিশ্বের নজর ছিল একজনের উপর। তিনি মিচেল জনসন। এই মুহূর্তে বিশ্বের ভয়ঙ্করতম ফাস্ট বোলার। তবে পোর্ট এলিজাবেথের উইকেটে প্রথম দিন অন্তত জনসনের চ্যালেঞ্জ সামলে দিতে পেরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। হাসিম আমলাকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল জনসনের। কিন্তু প্রথমে ডিন এলগার (৮৩) এবং পরে দু’প্লেসি (৫৫) এবং ডেভিলিয়ার্স (৫১ ব্যাটিং) মিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে একটা লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। দিনের শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২১৪।
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে জনসনের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা উড়ে যাওয়ার পর পোর্ট এলিজাবেথের পিচ ব্যাটসম্যান সহায়ক হবে, এ রকম একটা ধারণার কথা টেস্ট শুরুর আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। বিশেষ করে পিচ কিউরেটর যখন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে বলে বসেন, “পিচ নিয়ে আমরা কী করব, তা ঠিক হবে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ-ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলার পর।” |
সেই রুদ্রমূর্তি। আমলাকে ফিরিয়ে জনসন।
বৃহস্পতিবার। ছবি: এএফপি। |
ক্লার্ক আবার সে কথা মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার পর, অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকরা চেপে ধরেন গ্রেম স্মিথকে। স্মিথ অবশ্য তাঁদের বলেছেন, “আমরা পিচ নিয়ে কোনও নির্দেশ দিইনি। আমি একটা জিনিস দেখেছি। যখন আপনি কিছু চাইবেন, তখন সেটা পাওয়া যায় না। আমরা শুধু একটা ভাল উইকেটে টেস্ট ম্যাচটা খেলতে চাই। যেখানে রেজাল্ট হবে।”
প্রথম দিনের খেলা দেখে অবশ্য কারও কারও মনে হয়েছে, এই পিচে ফাস্ট বোলারদের চেয়ে স্পিনাররা না বেশি সাহায্য পেয়ে যান। প্রথম দিন জনসন ১৫ ওভার বল করে এক উইকেট পেয়েছেন, হ্যারিস ১৮ ওভারে এক উইকেট, সিডল ২২ ওভার করে কোনও উইকেট পাননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই স্পিনার লিয়ঁ (২-৪৭) এবং স্টিভন স্মিথ (১-১৮)। |