ডেম্পোর সঙ্গে তাঁর বহু পুরনো সম্পর্কের বিচ্ছেদ তো আগেই ঘটেছিল। এ বার সেই দলকে ‘মৃত সন্তান’ বলতেও ছাড়লেন না আর্মান্দো কোলাসো। রবিবার গোয়ায় ডেম্পোর বিরুদ্ধে আই লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামার বাহাত্তর ঘণ্টা আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ বললেন, “ডেম্পো আমার কাছে ক্লোজড চ্যাপ্টার। মৃত সন্তানের মতো। আমার নতুন পরিবার এখন ইস্টবেঙ্গল। আমি শুধু ইস্টবেঙ্গল নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে চাই।”
আই লিগের চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে, রবিবারের ম্যাচে ডেম্পোকে হারানো খুব জরুরি। কিন্তু তাঁর পুরনো টিম নিয়ে কোনও প্রসঙ্গ উঠলেই লাল-হলুদ কোচের সাফ জবাব, “ডেম্পোর জায়গায় অন্য কোনও দল হলেও একই রকম গুরুত্ব দিতাম। আই লিগ জিততে গেলে আমাদের এখন সব ম্যাচ জিততে হবে।” কোলাসোর কথা শুনলেই বোঝা যাচ্ছে, কতটা চাপে আছেন তিনি।
|
কোলাসোর উদ্বেগ বাড়ালেন মোগা। |
আই লিগকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে শিল্ডকে পাত্তা দেননি। এ বার আই লিগেও যদি ব্যর্থ হয় তাঁর দল, তা হলে কি কলকাতায় কোলাসোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে? আর্মান্দো বলছিলেন, “সাফল্য পেতে হলে যে কোনও কোচকেই সময় দিতে হবে। আমার বিশ্বাস, সেই সময় আমাকে দেওয়া হবে। না দেওয়া হলেও কোনও আক্ষেপ থাকবে না। আমার দুঃসময়ে ইস্টবেঙ্গল যে ভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, সেটা কখনও ভুলতে পারব না। আমাকে তাড়িয়ে দিলেও, ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ চেয়ে নিয়ে যাব।”
যে কোচ এত দিন আই লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন, তাঁর মুখে হঠাৎ যেন উলটপুরাণ! বহিরঙ্গে আত্মবিশ্বাস থাকলেও, অন্দরমহলে সেই জেদ উধাও। আর হবে না-ই বা কেন? রবিবারের ম্যাচে দলের প্রধান বিদেশি স্টপার উগা ওপারা তো খেলতে পারবেন-ই না, মোগাও অনিশ্চিত। আর্মান্দো বলছিলেন, “সব ম্যাচেই সুযোগ তৈরি হচ্ছে, গোল আসছে না। স্ট্রাইকারদের নিয়ে আলাদা করতে কাজ করছি। কিন্তু এখনেও সমস্যা। মোগার কুচকিতে চোট। ডেম্পো-ম্যাচে পাওয়া যাবে কিনা জানি না।”
বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় এক ঘণ্টা অনুশীলন করলেন মেহতাব-চিডিরা। আই লিগের প্রথম পর্বে ডেম্পোর কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পরে, গোয়ায় প্রতিশোধ তুলতে মরিয়া লাল-হলুদ ব্রিগেড। শুক্রবার সকালে গোয়া উড়ে যাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা আগে অধিনায়ক মেহতাব হোসেন বলছিলেন, “আমাদের জিততেই হবে। না হলে আই লিগে পিছিয়ে তো পড়বই, মোটিভেশনও নষ্ট হয়ে যাবে। গোয়ার গরম একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে।” |