মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন। তাই আট মাসের মধ্যে কলকাতায় তৈরি হয়ে গেল কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই মাত্র দু’মাসের মধ্যে সরকারি সরকারি দফতর হিসেবে সেজে উঠেছে মন্দিরতলার এইচআরবিসি বিল্ডিং।
হয়তো মুখ্যমন্ত্রীর নজরে পড়েনি। তাই আট মাসেও নতুন করে রং করে আলো জ্বালানো গেল না শহিদ মিনারে। কবে তাতে আগের মতো আলো জ্বলবে, তা-ও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না পূর্ত দফতরের তাবড় কর্তারা। ফলে অন্ধকারেই দাঁড়িয়ে কলকাতার অন্যতম আইকন।
পূর্ত-কর্তাদের যুক্তি, কোনও সংস্থাকে সরকারি বরাত দেওয়ার নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেই সব পেরিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগে। তবে পূর্ত দফতরের এই যুক্তি মানতে নারাজ সরকারি কর্তাদের একাংশ। নবান্নের এক কর্তা বলেন, “কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্কের মতো মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন বলে এই পূর্ত দফতরই এইচআরবিসি-র বিল্ডিংকে ‘নবান্ন’ হিসেবে তৈরি করে ফেলেছে মাত্র দু’মাসে।” |
পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে রাজ্য সরকার ঠিক করে, শহিদ মিনারে কিছু মেরামতির কাজ হবে। সেই সঙ্গে শহিদ মিনারের রং পাল্টানোরও সিদ্ধান্ত হয়। এক কর্তা জানান, রং করার জন্য মাস আটেক আগে শহিদ মিনারের আলোর যে সব যন্ত্রপাতি লাগানো ছিল, তা খুলে নেওয়া হয়। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সরাতে হয় শহিদ মিনারের নীচে থাকা সিইএসসি-র ট্রান্সফরমারটিও।
পূর্ত দফতরের ওই কর্তা বলেন, “সে সময়েই ঠিক হয়েছিল, নতুন করে কোনও সংস্থাকে শহিদ মিনারে আলো লাগানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেই আলোকসজ্জা হবে আরও দৃষ্টিনন্দন। সে জন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছে।” সেই প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে, এ প্রশ্নের উত্তরে ওই কর্তা বলেন, “কোন সংস্থা আলোকসজ্জার দায়িত্ব পাবে, তা চূড়ান্ত করতে আর হয়তো বেশি দিন লাগবে না। তবে সংস্থা চূড়ান্ত হওয়ার পরে তারা আলোকসজ্জার পরিকাঠামো তৈরি করবে। তার পরে আলো জ্বলবে। তা-ও এখনও কয়েক মাসের ধাক্কা।”
অতএব, সেই ক’মাসও অন্ধকারেই থাকবে শহিদ মিনার। |