স্বাধীনতার ছয় দশক পর রায়গঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিনগর কীর্তন মাঠ এলাকায় একমাত্র প্রাথমিক স্কুলের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকায় যেন উৎসবের পরিবেশ। বুধবার বিকালে নবমির্মিত ওই স্কুলের উদ্বোধন করেন উত্তর দিনাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান শেখর রায়। কয়েকশো বাসিন্দা পটকা ফাটিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। পুরুষ-মহিলারা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। |
শক্তিনগর কীর্তন মাঠ এলাকায় একমাত্র প্রাথমিক স্কুল উদ্বোধন। বৃহস্পতিবার। |
ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাসিন্দাদের মধ্যে মিষ্টি বিলি শুরু হয়ে যায় গত তিন দশকে ওই ওয়ার্ডে প্রাথমিক স্কুল তৈরি হয়নি। স্কুল তৈরির দাবিতে বরুণবাবুর নেতৃত্বে গত দুবছর ধরে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অরাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে আন্দোলন করছিলেন। সেই আন্দোলনের চাপেই প্রায় ছয় মাস আগে রাজ্য উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদকে স্কুল তৈরির জন্য ১১ শতক খাসজমি লিখে দেয়। তবে স্কুলভবন তৈরির জন্য সরকারিভাবে আপাতত টাকা বরাদ্দ না হওয়ায় ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুল চালু করতে বরুণবাবু ৮০ টাকা খরচ করে টিন দিয়ে একটি অস্থায়ী স্কুলভবন তৈরি করে দেন। সংসদের চেয়ারম্যান শেখরবাবু বলেন, “বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি প্রাথমিক স্কুল তৈরির দাবি জানাচ্ছিলেন। বরুণবাবুর চেষ্টায় অবশেষে স্কুল তৈরি করতে পেরে আমরা খুশি! খুব শীঘ্রই পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া, পঠনপাঠন, পাঠ্যপুস্তক বিলি ও মিডডে মিল চালু করা হবে।” তিনি জানান, প্রায় একদশক পড়ুয়া ও পরিকাঠামোর অভাবে রায়গঞ্জ পুর এলাকার ৬টি স্কুল বন্ধ। বন্ধ থাকা কোনও স্কুলকে নতুন স্কুলটির সঙ্গে সংযুক্ত করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |