ট্রেন থেকে ঝাঁপ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
চলন্ত ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে ঝাঁপ দিলেন এক মাঝবয়সী মহিলা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর স্টেশনে। স্টেশন ম্যানেজার দীপক দত্ত জানান, “খড়্গপুরগামী পুরুলিয়া-খড়্গপুর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস দুপুর ২টা ১০-এ বিষ্ণুপুর স্টেশন ছাড়ার পরে বছর পঞ্চাশের ওই মহিলা ঝাঁপ দেন প্ল্যাটফর্মে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” প্রথম দিকে কথা বলতে না পারলেও হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে ওই মহিলা জানান, তাঁর শ্বশুরবাড়ি বিষ্ণুপুর থানা এলাকারই একটি গ্রামে। পারিবারিক অশান্তির জেরে তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে তিনি হাসপাতালের কর্মীদের জানিয়েছেন।
|
পড়ুয়া অসুস্থ, শো-কজ অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীকে |
খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাকে শো-কজ করা হল। খাতড়া ব্লকের নিমডিহা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার বিলি করা খিচুড়ি খেয়ে শিশু ও গর্ভবতী মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই ঘটনায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী দীপালি রায় ও সহায়িকা রেনুবালা মহান্তিকে বুধবার শো-কজ করা হল। ব্লকের সুসংগত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক রাণু চক্রবর্তী বলেন, “ওই ঘটনা কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, পাশাপাশি ওই ঘটনার জন্য নিমডিহা অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের কর্মী দীপালি রায় ও সহায়িকা রেনুবালা মহান্তিকে শো-কজ করা হয়েছে।” ওইদিন দুপুরে অসুস্থ ৩৬ জন শিশু ও ৮ জন গর্ভবতী মহিলাকে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক জনকে সে দিনই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার রমেশ কিস্কু বলেন, “২৩ জন শিশুকে পর্যবেক্ষনের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। বুধবার সকালে প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে ওঠায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।” ওই ঘটনার পরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের রান্নার ব্যাপারে সতর্ক করতে কাল শুক্রবার খাতড়া ব্লকের কর্মী, সহায়িকা ও সুপারভাইজারদের বৈঠকে ডেকেছেন সিডিপিও।
|
স্কুলে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালেন বাসিন্দারা। মঙ্গলবার বান্দোয়ানের গঙ্গামান্না গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা এলাকায় মিছিল ও পথসভা করেন। শিক্ষা বাঁচাও কমিটি নামে একটি সংগঠন গড়ে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছেন। ওই কমিটির তরফে নরহরি সিং, অরবিন্দ মাহাতো, চিত্তরঞ্জন হাঁসদার অভিযোগ, “এই স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বেশি দেখিয়ে মিড-ডে মিল, পোশাক, বুক গ্রান্টের টাকা নিয়ে বেনিয়ম হয়েছে।” চেষ্টা করেও ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রাধারানি মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ডেকেছি। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার মধ্যে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে।”
|
মানবাজার ব্লক অফিস লাগোয়া মাঠে বুধবার প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। মানবাজার ১ চক্রের পরিচালনায় প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা গন্ধ শুঁকে পাতা চেনা, মিউজিক্যাল চেয়ার, ৫০ মিটার দৌড় প্রভৃতি প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মাহাতো উপস্থিত ছিলেন। |