|
|
|
|
পর্যটক হেনস্থায় ক্লোজ দুই পুলিশকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দিঘায় পর্যটক দম্পতিকে হেনস্থার অভিযোগে ক্লোজ করা হল দুই পুলিশকর্মীকে। এর পাশাপাশি অভিযুক্ত তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন। বুধবার সন্ধ্যায় কাঁথির এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “তিন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনকে ক্লোজ করা হয়েছে।”
মঙ্গলবার কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থেকে স্ত্রীকে নিয়ে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন নাজির খান। তাঁর অভিযোগ ছিল, সৈকত শহরে এসেই পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। জোর করে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগও জানান তাঁরা। তবে পুলিশে অভিযোগ না জানিয়ে তাঁরা দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান।
বুধবার আনন্দবাজার পত্রিকায় এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই জেলা পুলিশ মহলে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়। জেলার পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনের নির্দেশে গোটা বিষয়টি নিয়ে কাঁথি মহকুমা পুলিশ তদন্তে নামে। বুধবার সকালে মোহনা থানার ওসি বিপ্লব হালদার নিজে হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে যান। সেখানে গিয়ে নাজির খানের ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং নাজিরের লিখিত অভিযোগ পত্র জোগাড় করেন। পরে কাঁথির এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু মোহনা থানায় গিয়ে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। প্রসঙ্গত, রাজ্য পুলিশের মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি অজয় নন্দ মঙ্গলবারই আশ্বাস দেন, ওই দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। পুলিশের হাতে এ হেন হেনস্থা বরদাস্ত করা হবে না। তা যে শুধু কথার কথা নয়, এ দিনের কর্মতৎপরতা তারই প্রমাণ বলে এলাকাবাসীর মত। |
|
|
|
|
|