|
|
|
|
দোষ কবুল শিক্ষকের, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিনপুর |
আজ, বৃহস্পতিবার থেকে খুলছে বিনপুরের যশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিলে কারচুপি-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে গত সোমবার স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেন অভিভাবক ও যশপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত-সহ শাস্তি ও তাঁকে অপসারণের দাবি করেন গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের একাংশ। সমস্যা মেটানোর জন্য বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও অভিযোগকারী সব পক্ষকে বিনপুর পঞ্চায়েত অফিসে আলোচনার জন্য ডাকেন লালগড়ের বিডিও অভিজিৎ সামন্ত। এ দিন বিডিও-র প্রতিনিধি হিসেবে ওই বৈঠকে ছিলেন জয়েন্ট বিডিও গৌতম বর্মণ এবং ব্লক মিড ডে মিল আধিকারিক সুব্রত মণ্ডল। এ ছাড়াও ছিলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক তপনকুমার হুই, বিনপুর-১ ব্লকের সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক সন্দীপ মাইতি, বিনপুর-১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নীহাররঞ্জন ঘোষ প্রমুখ। প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধান শিক্ষক মৃণালকান্তি পাত্র স্বীকার করে নেন জানুয়ারি মাসে মিড ডে মিলের রিপোর্টে গরমিল রয়েছে। সহ শিক্ষক ও স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যার স্বাক্ষর দু’টিও নকল। এই পরিস্থিতিতে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রশাসনিক কর্তাদের জেরায় প্রধান শিক্ষক কবুল করেন, কিচেন শেডের জন্য ব্লক থেকে দেওয়া ৬০ হাজার টাকা তিনি তুলে নিয়েছেন। কিন্তু কিচেন শেড তৈরি করা হয় নি। পরে ওই প্রধান শিক্ষককে নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতর ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা স্কুলে আসেন। স্কুলের তালা খোলা হয়। নথিপত্র যাচাই করে গরমিলের বেশ কিছু প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন বিডিও অভিজিৎ সামন্ত। বিডিও বলেন, “ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে যথারীতি স্কুল চলবে। আপাতত, মৃণালবাবুকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। শীঘ্রই তাঁকে বদলি করা হবে। মৃণালকান্তিবাবু অবশ্য এ দিন কোনও কথা বলতে চান নি। |
|
|
|
|
|