|
|
|
|
দ্রুত বিদ্যুৎ দিতে ঠিকাদার বদলির সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যুৎহীন গ্রামগুলিতে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছতে এবার ঠিকাদার সংস্থার বদলির সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। তারই সঙ্গে বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়নে আরও একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার এ নিয়ে মেদিনীপুর জেলা পরিকল্পনা ভবনে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জঙ্গলমহলের যে ৮৪টি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি সেখানে দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। ‘পাওয়ার গ্রিড’ এই কাজের বরাত পেয়েছিল। কিন্তু বরাত পাওয়ার পর কাজে কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি। তাই ওই সংস্থাকে বাদ দিয়ে এবার ‘এল এন্ড টি’কে ওই বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই সঙ্গে নতুন চারটি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার তৈরি, ৭টি পাওয়ার স্টেশন তৈরি করা হবে। খড়্গপুর ডিভিসনকে ভেঙে আগেই বেলদাতে একটি নতুন ডিভিশন তৈরির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। দ্রুত জমি দেখে বেলদা ডিভিশনের পরিকাঠামো নির্মাণ করার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান প্রতিটি বাড়িতে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছে যাক। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। তাই এবার আর গড়িমসি নয়। যে কারণে জঙ্গলমহলে বরাত পাওয়া সংস্থার বরাত বাতিল করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উন্নত বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
জেলা পরিষদে ক্ষুদিরাম ভবনে বৈঠক। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এখনও প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষকে নিখরচায় বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কথা। সেই কাজ শুরু হলেও তা খুবই ঢিমে তালে চলছে বলে অভিযোগ। শুধু বিপিএল নয়, এপিএল তালিকাভুক্ত মানুষের বাড়িতেও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কথা। বিপিএল তালিকাভুক্তদের ক্ষেত্রে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে একটি আলো জ্বালানোর দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এপিএল তালিকাভুক্তদের ক্ষেত্রে শুধু বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের খরচ বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। এমন একটি প্রকল্পেও ঢিলেমির অভিযোগ উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে জঙ্গলমহলে বারবার এসে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই জঙ্গলমহলেরই বিদ্যুৎহীন ৮৪টি গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। বাকি ৪৪টি গ্রামে অবশ্য কাজ শুরু হয়েছে। তাও দ্রুত শেষ করতে জোর দেওয়া হয়েছে।
সবং, পিংলা, দাসপুর ও সাঁকরাইলে আরও ৪টি ‘কাস্টমার কেয়ার সেন্টার’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবং, খড়্গপুর ২, শালবনি, গড়বেতা ৩, ডেবরা-সহ ৭টি জায়গায় ৭টি নতুন সাব স্টেশনও তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতদিন খড়্গপুর মহকুমাতে বিদ্যুৎ দফতরের একটিই ডিভিশন ছিল। ৯টি ব্লকের মানুষকে যে কোনও কাজেই ডিভিশনাল অফিসে যেতে হত। একটি ডিভিশনাল অফিস থাকায় আধিকারিক ও কর্মী সংখ্যাও বেশি নেই। দীর্ঘদিন বেলদায় একটি নতুন ডিভিশন অফিস খোলার দাবি ছিল। সম্প্রতি তা মঞ্জুরও হয়েছে। কিন্তু এখনও পরিকঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়নি। বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “দ্রুত জমি দেখতে বলা হয়েছে। তারপর কাজ শুরু হবে।” |
|
|
|
|
|