|
|
|
|
| |
| পরীক্ষার মরশুমে মেলার নির্দেশ, সরব বিরোধীরা |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাদ্রাসা পরীক্ষা চলছে। আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক। তারপর রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক। পরীক্ষার এই মরসুমে প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লকে ‘গ্রামীণ মেলা’ আয়োজনের নির্দেশ ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। আগামী ২২ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি মেলা আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় নির্দেশ পাঠিয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ দফতর। প্রতিদিন দুপুর তিনটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে মেলা। পরীক্ষার মরসুমে মেলা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, পরীক্ষার সময় মেলা করা অনুচিত। মাইকের শব্দে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হবে। প্রশাসন এবং তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, পরীক্ষার্থীদের যাতে সমস্যা না হয়, সে দিকে নজর রেখেই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ব্লকে ব্লকে আয়োজিত এই মেলা থেকে গত আড়াই বছরে রাজ্য সরকারের সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরা হবে। জানানো হবে, কোন দফতর কী কী কাজ করেছে, আগামী দিনে কী কাজ করবে। ইতিমধ্যে রাজ্যের ১৮টি জেলাতেই পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ দফতরের নির্দেশিকা পৌঁছেছে। তাতে জানানো হয়েছে, কী ভাবে ‘গ্রামীণ মেলা’র আয়োজন করতে হবে। ওই নির্দেশ অনুযায়ী, মেলার জন্য জেলাস্তরে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির চেয়ারম্যান হবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। একজিকিউটিভ চেয়ারম্যান হবেন জেলাশাসক। সঙ্গে আরও কয়েকজন আধিকারিক থাকবেন এই কমিটিতে। অন্য দিকে, ব্লকস্তরেও একটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির চেয়ারম্যান হবেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কনভেনর হবেন বিডিও। মেলা চত্বরে একগুচ্ছ স্টল থাকবে। প্রতিটি দফতর স্টল দেবে। যেমন, কোনওটি একশো দিনের কাজের স্টল, কোনওটি গ্রামীণ সড়ক যোজনার, কোনওটি স্বসহায়ক দলের। শিক্ষা, স্বাস্থ্য দফতরের স্টলও থাকবে। প্রদর্শনী, কর্মশালার সঙ্গে মেলা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। ফলে, মাইকের অত্যাচারের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মাদ্রাসা পরীক্ষা। চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। শেষ হবে ৬ মার্চ পর্যন্ত। আর ১২ মার্চ থেকে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন স্কুলে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও হবে। ফলে, গ্রামীণ এলাকার পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অনেকেই মনে করছেন, মেলা চলাকালীন মাইকের দাপটে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটবে। সে আশঙ্কা অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের উত্তরা সিংহ। তিনি বলেন, “পরীক্ষার সময় বলেই একটু ফাঁকা জায়গা দেখে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সাউন্ড বক্সের আওয়াজ খুব কম থাকবে। রাত ৮টার পর সাউন্ড বক্স বন্ধ করে দেওয়া হবে। মেলার জন্য পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হবে না।” এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেত্রী রীতারানি জানার কটাক্ষ, “কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে মেলা আর উৎসব করছে রাজ্য সরকার। সরকারি মঞ্চ থেকে দলের প্রচার চলছে। কারও সুবিধা-অসুবিধা ভাবা হচ্ছে না।” |
|
|
 |
|
|
