|
|
|
|
ধোনিকে সরানোর দাবি তুলেও
সৌরভ বললেন, থাক সামনে বিশ্বকাপ
নিজস্ব প্রতিবেদন
১৯ ফেব্রুয়ারি |
নিউজিল্যান্ডে ভারতীয় দলের দুর্দশা দেখার পর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, সামনে বিশ্বকাপ না থাকলে এখনই নেতৃত্ব থেকে ধোনিকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলতেন। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সৌরভ বলেন, “টেস্টে ধোনির নেতৃত্ব জঘন্য। কিন্তু এখনই অধিনায়ক বদল হলে দলটারই ক্ষতি হবে। কারণ বিশ্বকাপের আর এক বছরও বাকি নেই।”
সৌরভ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সামনে বিশ্বকাপ না থাকলে তিনিও ‘ধোনি হঠাও’ ধ্বনি তুলতেন। ‘হেডলাইন্স টুডে’-র এক অনুষ্ঠানে সৌরভ বলেন, “বিশ্বকাপটা আছে বলেই। না হলে ধোনিকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর বিষয়ে একমত হতাম। টেস্ট দলে ওর জায়গা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু বিদেশে রেকর্ড ভাল করতে হবে ওকে।” বিদেশে শেষ ১২টি টেস্টের মধ্যে দশটিতেই হেরেছে ধোনির এই ভারত। বাকি দু’টিতে ড্র হয়েছে। তার পরেও অবশ্য ভারত অধিনায়ক বলছেন, তাঁর দল ঠিক রাস্তাতেই এগোচ্ছে।
ভারতীয় দলের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় সৌরভের মতো এতটা আক্রমণাত্মক না হলেও বলেছেন, বিদেশে সফল হতে গেলে ধোনিকে আরও ঝুঁকি নিতে হবে। তাঁর ব্যাখ্যা, “আমার মনে হয় ওর বোলারদের উপর ধোনির যতটা ভরসা রাখা উচিত, ততটা রাখতে পারছে না। ডারবান টেস্টে দেখলাম ১৪৬ ওভার হয়ে যাওয়ার পরও নতুন বল নিল না। তার পর নতুন বল নিতে কার্যত বাধ্য হল ও।” কেন এমন সিদ্ধান্ত? এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে রাহুলের ব্যাখ্যা, “ওর পেসাররা উইকেট নিতে পারে, এই বিশ্বাসটাই ছিল না বলে এমন সিদ্ধান্ত। রান আটাকানোর জন্যই পুরনো বল দিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চাইছিল ধোনি। এতেই বোঝা যায়, কতটা রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলছিল। বিদেশে সফল হতে গেলে ঝুঁকি নিতে হবে, ফাটকা খেলতে হবে। তাতে কয়েকটা টেস্ট হারতে হলে হারতে হবে।”
তবে রাহুলও ধোনির হাত থেকে এখনই নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়ার পক্ষপাতী নন। তাঁর বক্তব্য, “ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে এবং তার পর বিশ্বকাপেও ওকে নেতৃত্বে থাকতে দেওয়া উচিত। ওর সেই অধিকার আছে। ওর নেতৃত্বে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পেয়েছি, বিশ্বের এক নম্বর দল হয়েছি। দেশে যথেষ্ট ভাল রেকর্ড ওর। কেবল এই চার দেশে সফরের ফল দেখে ওকে এখনই সরিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরের পরই বোঝা যাবে ক্যাপ্টেন ধোনি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে।”
|
|
|
|
|
|