|
|
|
|
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেয়ে
বোলাররাই
ভাল খেলেছে, বলছেন বন্ড
চেতন নারুলা • ওয়েলিংটন
১৯ ফেব্রুয়ারি |
নিউজিল্যান্ড সফরে ভারতীয় বোলাররা দলকে জেতাতে না পারলে কী হবে, ইশান্ত-জাহির-শামির প্রশংসা করতে ভুলছেন না বিপক্ষের বোলিং কোচ শেন বন্ড। ওয়েলিংটনের আদর্শ ব্যাটিং উইকেটে যে ভাবে প্রায় তিন দিন টানা বল করে গিয়েছেন ইশান্তরা, তা দেখে প্রভাবিত প্রাক্তন নিউজিল্যান্ড পেসার।
“দু’টেস্টের এই সিরিজে ভারতের ব্যাটসম্যানদের চেয়ে অনেক ভাল পারফর্ম করেছে ওদের বোলাররা। অকল্যান্ডে দ্বিতীয় ইনিংসে তো দুর্দান্ত বল করেছিল। আর বেসিন রিজার্ভের ঘাস ভর্তি পিচ যে আমাদের জন্য কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সেটাও ওরা দেখিয়ে দিয়েছে,” বলছেন বন্ড।
অকল্যান্ড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১০৫ রানে নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করে দিয়েছিল ভারত। কিন্তু তার পরে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ৪০৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে পারেননি। মাত্র ৪০ রানে হেরে গিয়েছিল ভারত। আর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ব্রেন্ডন ম্যাকালামদের ১৯২ রানে শেষ করে দেন ইশান্ত-শামি। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের ঐতিহাসিক ট্রিপল সেঞ্চুরি ম্যাচটা ড্র করে দেয়। যে প্রসঙ্গে বন্ড বলছেন, “আমাদের সিনিয়র কিছু ব্যাটসম্যান আগেও জাহির খান আর ইশান্ত শর্মার বিরুদ্ধে খেলেছে। ব্রেন্ডন আর রস টেলর সেই অভিজ্ঞতাটা বাকিদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিল। ব্রেন্ডন নিজে যে অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগাল, সেটা তো ওর ইনিংসটাই প্রমাণ করে দিয়েছে।” সঙ্গে সংযোজন, “মহম্মদ শামি আর রবীন্দ্র জাডেজা আমাদের কাছে অচেনা বস্তু ছিল। তাই দলগত ভাবে ভারতীয় বোলিং আক্রমণ দুটো টেস্টেই আমাদের ভাল রকম ক্ষতি করে দিয়েছিল। তবে আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট ভাল ছিল বলেই আমরা জিতে গেলাম শেষ পর্যন্ত।” |
|
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে বিশেষ করে ইশান্তের প্রশংসা করেছেন বন্ড। দু’টেস্ট মিলিয়ে ভারতীয় পেসারের শিকার ১৫ উইকেট। যার মধ্যে আছে তাঁর কেরিয়ারের সেরা বোলিং হিসেব (৬-৫১)। “টেস্ট সিরিজে ইশান্ত খুব ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। বিশেষ করে ওয়েলিংটনের দ্বিতীয় ইনিংসে, যখন ভারতীয়দের অতক্ষণ ফিল্ডিং করতে হয়েছিল। পুরো সময়েই ইশান্ত ভাল গতিতে সঠিক লেংথে বল করে গেল,” বলেছেন বন্ড। তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “বল করার সময় আপরাইট আর স্ক্র্যাম্বলড, দু’রকম সিমই ব্যবহার করে ইশান্ত। স্ক্র্যাম্বলড সিম ব্যবহার করা দেখে আমার ক্রিস কেয়ার্নসের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। যদিও ইশান্ত অনেক বেশি গতিতে বল করে। তবে বিদেশ সফরে যে এটা দারুণ অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে, সেটা এই সফরেই ও প্রমাণ করে দিয়েছে।”
বিভিন্ন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কি ইশান্তের অসুবিধে হচ্ছে? বন্ড বলছেন, “ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটা দিন ভাল গেলে তার পরের দিনটা খারাপ যেতে পারে। তা ছাড়া ওয়ান ডে-র নতুন সব নিয়ম বোলারদের বেশ ক্ষতি করেছে। যার জন্য অপরিচিত পরিবেশে ওদের প্রচুর স্ট্রাগল করতে হতে পারে। এটা শুধু ইশান্তের ক্ষেত্রে নয়, বাকিদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। হয়তো ভারতের উচিত বিভিন্ন ফর্ম্যাটে ওকে আরও ভাল ভাবে হ্যান্ডল করা।” যার আদর্শ উদাহরণ নিউজিল্যান্ডেরই ট্রেন্ট বোল্ট, যাঁকে প্রথমে টেস্টে বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে খেলানো হত। সেখান থেকে বোল্টকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০১৫ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের জন্যও তৈরি করা হয়েছে। বন্ড বলছেন, “হ্যাঁ আমরা ওকে নিয়ে প্রচুর খেটেছি। ও দু’দিকেই সুইং করাতে পারে। আমরা চাই ওকে সব ফর্ম্যাটে ব্যবহার করে আস্তে আস্তে ২০১৫ বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করতে।” |
|
|
|
|
|