রাইফেল কিকে উত্তপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
আমার বাঁ পা বলে কিছু নেই, ম্যাজিক গোল করেই ইব্রাহিমোভিচ
১৯ ফেব্রুয়ারি
প্রপেলার কিক, স্করপিয়ন কিকের পর এ বার ‘রাইফেল কিক’। স্রষ্টা জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ ছাড়া আর কে!
ঙ্গলবার বেয়ার লেভারকুসেনের বিরুদ্ধে ৪২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সুইডিশ মহাতারকার বাঁ পায়ের ঘণ্টায় ১০৩ কিলোমিটারের বুলেটকে এখন এই নামেই ডাকছে ফুটবল বিশ্ব। যার ঘায়ে জার্মান ক্লাবকে প্রথম পর্বে ৪-০ হারাল ইব্রার প্যারিস সাঁ জাঁ। ম্যাচের পর যদিও দুর্বল পায়ে নেওয়া ‘গোলাজো’ নিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ইব্রা বলেন, “আমার বাঁ পা বলে কিছু নেই। কোনও পা-ই দুর্বল নয়। আমরা ম্যাচটায় ভাল খেলেছি। মাতুইদির গোলে শুরুটা ভাল হয়েছিল। এক গোলে এগিয়ে থাকলে বাকি কাজটা সহজ হয়ে যায়।” চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪১ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ন’নম্বরে উঠে আসা ইব্রা সঙ্গে যোগ করেন, “প্রথমার্ধটা দারুণ হওয়ার পর সেই খেলাটাই দ্বিতীয়ার্ধে ধরে রাখার চেষ্টা করে গিয়েছি। যখন কেউ ভাল খেলে, জানে গোলের সুযোগ আসবেই। শুধু ফোকাসটা ধরে রেখে স্কোর করতে হবে।”
প্রথম পর্বের ম্যাচ হলেও ৪২ মিনিটেই ইব্রারা কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন ৩-০ এগিয়ে গিয়ে। তিন মিনিটেই মাতুইদি এগিয়ে দেন প্যারিস সাঁ জাঁকে। ইব্রাকে যদিও শুরু থেকে তেমন ছন্দে দেখা যায়নি। বরং কিছুটা ম্লানই লাগছিল। কিন্তু কে জানত প্রধমার্ধের শেষ দিকেই হঠাৎই আগ্নেয়গিরি লাভা ছড়াতে শুরু করবে আর ছারখার করে দেবে লেভারকুসেনকে। ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করার তিন মিনিটের মধ্যেই জার্মান ক্লাবের যাবতীয় স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইব্রার ২৫ গজের গোলায়। দ্বিতীয়ার্ধে ইব্রার মার্কার এমির স্পাহিচ লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড) দেখলে ম্যাচের শেষ আধ ঘণ্টা ১০ জনে খেলতে হয় লেভারকুসেনকে। এর মধ্যেই ৬৬ মিনিটে কাবায়া জার্মান ক্লাবের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেন টিমের চতুর্থ গোল করে।


শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা দশ স্কোরারের মধ্যে ঢুকে পড়াই নয়, চলতি মরসুমে ১০ গোল করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকেও চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছেন সুইডিশ সুপারস্টার। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন ইব্রাই। ৯ গোল করে দু’নম্বরে রোনাল্ডো। মেসি তিন নম্বরে (৭ গোল)।
ইব্রার ভয়ঙ্কর ফর্ম দেখে প্যারিস সাঁ জাঁ কোচ লরা ব্লাঁ-র কথা তো ছেড়েই দিন, লেভারকুসেন কোচ সামি হাইপিয়াও পর্যন্ত বলেন, “ইব্রা এক কথায় দুরন্ত। যে কোনও জায়গা থেকে যে কোনও সময় ও গোল করতে পারে। দিনের পর দিন নজর রেখে একজন ডিফেন্ডার চেষ্টা করে বিপক্ষ স্ট্রাইকারের দুর্বলতাটা ধরতে। কিন্তু ইব্রাহিমোভিচের ক্ষেত্রে এটা কোনও কাজে আসে কি না, জানি না। ও পারফেক্ট স্ট্রাইকার।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.