|
|
|
|
লক্ষ্মীদের শিবিরে এক ডজন ক্রিকেটার |
৪৮ বলে সেঞ্চুরি সৌরাশিসের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আটচল্লিশ বলে অপরাজিত একশো। বুধবার সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে বাংলা দলের স্পিনার অলরাউন্ডার সৌরাশিস লাহিড়ীর ব্যাটে যখন এই ঝড় উঠেছে, তখন ইডেনের ইন্ডোরে শুরু হল বাংলা দলের বিজয় হাজারে প্রস্তুতি শিবির। যেখানে স্কোয়াডের ১৬ জনের মধ্যে হাজির ছিলেন বারো জন ক্রিকেটার। প্রকৃতির দাক্ষিণ্যে এক দিনের জন্য অন্তত মিটল ক্লাব বনাম বাংলা দ্বন্দ্ব। কারণ, ভিজে মাঠের জন্য সিএবি লিগের অর্ধেক ম্যাচই হল না এ দিন। পরিত্যক্ত ও অনেক দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচ থেকে বাংলার ক্রিকেটাররা চলে এলেন ইডেনে। অনেকে প্র্যাকটিস সেরে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে নামলেন।
শহরের বাইরে থাকা ঋদ্ধিমান সাহা, ইরেশ সাক্সেনা, আমির গনি ও লিগের ম্যাচে খেলা সৌরাশিস ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন ইন্ডোর নেটে। ইডেনেও আউটফিল্ড ভিজে বলে সেখানে নেট প্র্যাকটিস করা যায়নি। তবে এ দিন বারো জনের শিবির হলেও বাকি দু’দিনের প্র্যাকটিস নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এক দিন ভিজে আউটফিল্ডের ‘সৌজন্যে’ প্র্যাকটিস করা গিয়েছে। পরপর তিন দিন সেটা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। বাংলা কোচ অশোক মলহোত্র এ দিন প্রকৃতিকে ধন্যবাদ দিলেন বটে, কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনও পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি যা, তাতে ঠিকঠাক অনুশীলন ছাড়াই বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে যেতে হবে বাংলাকে।
বুধবার ভিজে আউটফিল্ডের জন্য প্রথম ডিভিশন লিগের ছ’টি দু’দিনের ম্যাচ শুরু হতে পারেনি। কালীঘাটের ম্যাচও রয়েছে এর মধ্যে। এ দিন মোহনবাগান ও শ্যামবাজারের ম্যাচ দুপুরে শুরু হয়। ডিকেএসের বিরুদ্ধে ভবানীপুর ৭৭ ওভারে ৪৫৯-৪। মূলত এই চার ক্লাবের ক্রিকেটারদের নিয়েই তৈরি বাংলা দল। বৃহস্পতিবার অশোক মাঠে নেট প্র্যাকটিস করাতে চাইলেও কত জনকে পাবেন, সন্দেহ। কালীঘাটের ম্যাচ আদৌ শুরু না হলে কয়েক জন আসতে পারেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই ম্যাচ হলে শুধু লক্ষ্মী, মনোজদের নিয়েই প্র্যাকটিসে নামতে হবে। |
তিন মূর্তি। নতুন যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু। মনোজ, লক্ষ্মীর সঙ্গে কোচ অশোক।
বুধবার সিএবি-র ইন্ডোরে। ছবি: উৎপল সরকার। |
অশোক বললেন, “লাল-সাদা বলের চেয়েও বড় ফ্যাক্টর একসঙ্গে দলটার প্র্যাকটিসে নামা। তা ছাড়া এখানে তো লিগে ছোট মাঠে খেলা। ওখানে বড় মাঠে। এটা সমস্যা হতে পারে।” লক্ষ্মীরতন শুক্লর বক্তব্য, “সাদা বলে প্র্যাকটিস তো দরকারই। তবে একসঙ্গে আরও কয়েক দিন প্র্যাকটিস করতে পারলে ভাল হত।”
এ সবের মধ্যে বাংলার জন্য সুখবর, ব্যাটসম্যান সৌরাশিসের ফর্ম। সল্টলেকের বড় মাঠে গ্রিন টপ উইকেটে আটটা বাউন্ডারি ও সাতটা ওভার বাউন্ডারি সহ সেঞ্চুরি করলেন ভবানীপুরের সৌরাশিস। “বিজয় হাজারের কথা মাথায় রেখেই ভেবেছিলাম চালিয়ে খেলব। এই ইনিংস আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দিল,” সন্ধেয় বলছিলেন সৌরাশিস (১০০ ন.আ.)। একই ম্যাচে ১৫৮ রানে অপরাজিত তাঁর সতীর্থ ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়।
এটাই সিএবি লিগ ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি কি না, সেই জল্পনা বুধবার সারা দিন চলল ময়দানে। সিএবি-র এমন রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা নেই বলে তা নিশ্চিত নয়। তবে প্রাক্তন ক্রিকেটার রাজু মুখোপাধ্যায় বললেন, “পঞ্চাশের দশকে বি ফ্র্যাঙ্ক কলকাতা লিগে এমন ঝোড়ো ইনিংস খেলতেন। ধোনি ভারতীয় দলে আসার আগে পি সেন ট্রফিতে একবার ঝড়ের বেগে একটা ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল। তবে স্ট্রাইক রেট কী ছিল, জানি না।”
এ দিকে, বিজয় হাজারের উত্তরাঞ্চল পর্বের ম্যাচ খেলাতে যাচ্ছেন বাংলার আম্পায়ার সত্রাজিৎ লাহিড়ী। |
|
|
|
|
|