|
|
|
|
লামডিং-শিলচর রেল প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে চাপ |
অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় • কলকাতা
১৯ ফেব্রুয়ারি |
জঙ্গি কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসবাদীদের ভীতি প্রদর্শনের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে আটকে থাকা অসমের লামডিং থেকে শিলচর পর্যন্ত রেল লাইনের গেজ পরিবর্তনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিল রেল বোর্ড। রেল মন্ত্রকের আশা, আগামী বছরেই এই কাজ শেষ করে রেলপথটি খুলে দেওয়া হবে।
মন্ত্রকের বক্তব্য, গোটা যাত্রাপথটিই পাহাড় ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। ফলে নিয়মিতই সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গিদের হামলায় কাজ এগোচ্ছিল না। পরে রেল কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে ওই রেল পথের আশপাশে টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানদের মোতায়েন করার ব্যবস্থা করে। এর পরেই অবস্থার পরিবর্তন হয়। শুরু হয় কাজও। রেলমন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে ওই জাতীয় প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী ও বোর্ড সদস্য (ইঞ্জিনিয়ারিং) সুবোধ জৈন লামডিং যাচ্ছেন। কাজের অগ্রগতি দেখে কবে থেকে চালু করা হবে, তা ঠিক করা হবে। আপাতত লামডিং থেকে বদরপুর হয়ে শিলচর পর্যন্ত সারা দিনে দু’জোড়া এবং লামডিং থেকে বদরপুর হয়ে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করে।
বর্তমানে ওই শাখাতে মিটারগেজ লাইনে ট্রেন চলাচল করে। ফলে ট্রেনের গতি অনেক কম। পরিষেবাও যথেষ্ট নয়। আর সেই জন্য কাছাড়ের, বিশেষ করে শিলচরের যাত্রীদের একটা বিরাট অংশকে বিমানের উপরই নির্ভর করতে হয়। ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে অসমের গুয়াহাটি থেকে শিলচর পর্যন্ত ট্রেন চলাচলে গতি আসবে। ওই লাইনের কয়েক লক্ষ যাত্রীর যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে বিরাট সুবিধা হবে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী পর্যায়ে বদরপুর থেকে আগরতলা পর্যন্ত ২২৬ কিলোমিটার লাইনের গেজ পরিবর্তন করে ত্রিপুরাকেও সরাসরি ব্রডগেজ লাইনের মানচিত্রে সংযুক্ত করা হবে বলে পরিকল্পনা করছে রেলমন্ত্রক।
রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, ত্রিপুরার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ওই রাজ্যের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেটাকেই এবার গুরুত্ব দিচ্ছে রেলমন্ত্রক। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৯৯৬-৯৭ সালের বাজেটে এই প্রকল্পটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এটিকে জাতীয় প্রকল্প হিসাবে ঘোষণা করা হয়। প্রথমে লামডিং থেকে শিলচর পর্যন্ত ২১৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বর্তমানে ওই প্রকল্পের খরচ বেড়ে হয়েছে ৩৯০৯ কোটি টাকা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, লামডিং থেকে বদরপুর হয়ে এক দিকে শিলচর, অন্য দিকে আগরতলা পর্যন্ত লাইন গিয়েছে। শিলচর পর্যন্ত ওই লাইনে মোট ৩৭টি টানেল রয়েছে। যে গুলির মধ্যে তিনটি বেশ বড় মাপের টানেল। |
|
|
|
|
|