|
|
|
|
বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস মন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন হেমন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
১৯ ফেব্রুয়ারি |
ঝাড়খণ্ড সরকারের ‘ডাকাবুকো’ মন্ত্রী, কংগ্রেসের চন্দ্রশেখর (দদাই) দুবেকে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আজ সকালেই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দদাই রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন, পঞ্চায়েত এবং শ্রম নিযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকমান্ডের প্রচ্ছন্ন সমর্থনেই মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই রাজনৈতিক শিবিরের খবর। তবে মুখ্যমন্ত্রী আজ বিধানসভায় জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার সকলের সিদ্ধান্ত মেনেই দদাইকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছে। দদাইয়ের জায়গায় কে মন্ত্রী হবেন তা পরে জানানো হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভা গঠনের পরে মাঝে মধ্যেই দদাই মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ করেছেন। তা নিয়ে হেমন্তের দল, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। দদাই কখনও বলেছেন, শুধুমাত্র শিবু সোরেনের ছেলে বলেই হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আবার কখনও তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, হেমন্ত দুর্নীতি ঠেকাতে অপারগ। আবার কখনও সরাসরি হেমন্তকেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্রামপুরের এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক। কয়েক দিন আগে দদাই এর মন্তব্য সব কিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে। দদাই বলেছিলেন, রাজ্যের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আর অকর্মণ্য মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত। ওই ঘটনার পরে মন্ত্রিসভার ভিতরেই ঝড় ওঠে। দদাইকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর জন্য কংগ্রেসের উপরে চাপ দিতে থাকে জেএমএম। লোকসভার আসন বন্টন নিয়ে দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে দদাইয়ের নামে নালিশ করেন হেমন্ত। আজও মুখ্যমন্ত্রীকে ‘চোর’, ‘রাক্ষস’ বলে আক্রমণ করেছেন দদাই।
দদাইকে যে সরানো হতে পারে তার ইঙ্গিত কয়েক দিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। দদাই নিজেও সেটা আঁচ করতে পারছিলেন। ফলে তিনিও সরকারকে চাপে রাখতে মন্ত্রিত্ব, এমনকী বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন। আজ রাঁচিতে দদাই বলেন, “আমি আজ দিল্লি যাব। হাইকমান্ডের কাছে জানতে চাইব, তাঁরা আমাকে সত্যিই মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়েছেন কিনা। যদি হাইকমান্ড সরিয়ে থাকেন, তবে আমার বক্তব্য, আমি তো নিজেই এই মন্ত্রিসভা থেকে সরে যেতে চেয়েছিলাম। এই মন্ত্রিসভায় আমার থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না। রাজ্যের মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে।”
দদাইকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে আজ রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদের কাছে তাঁর অনুমোদনের জন্য পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল তা অনুমোদন করেছেন। এই ঘটনার পরে দদাইকে এখন খোঁচা খাওয়া বাঘের সঙ্গেই তুলনা করছে এ রাজ্যের রাজনৈতিক শিবির। তাদের ব্যখ্যা, সরকারকে বিপদে ফেলার একটা শেষ চেষ্টা দদাই করবেনই। দদাইয়ের ধানবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার কথা। আগেও দদাই ধানবাদ থেকে সাংসদ ছিলেন। মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পরে দদাই আজ বলেন, “আমি কংগ্রেসের হয়ে লড়ব। টিকিট না পেলে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই দাঁড়াব।” |
|
|
|
|
|