|
|
|
|
খুনের ২১ বছর পর সাজা ঘোষণা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
১৯ ফেব্রুয়ারি |
নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে হত্যার পরে কেটে গিয়েছে ২১ বছর। যোরহাট নিম্ন আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ মুক্তি পেয়েছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু অভিযুক্তদের যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছিল গৌহাটি হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টও সম্প্রতি সেই রায় বহাল রাখার পর গত কাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে দোষী পাঁচজনের মধ্যে চারজন।
পুলিশ নথি অনুযায়ী, ১৯৯২ সালের ২৭ ডিসেম্বর জিৎ কাকতি নামে এক ব্যক্তি নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে। ২৭ ডিসেম্বর গটঙা চা বাগানের লাগোয়া রেললাইনে মেয়েটির তিরিশ টুকরো হয়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটির ভাই পোশাক দেখে দেহটি শনাক্ত করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গটঙা চা বাগানের ১৭ নম্বর বাংলোয় নবম শ্রেণির ওই মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই কাকতি ও তার সঙ্গীরা মেয়েটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে।
তারপর কুপিয়ে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে দিয়ে যায়। পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা কুকরিটিও উদ্ধার করে। শৌচালয়ের দেওয়ালে মেলে রক্তের দাগ।
কিন্তু ২০০৩ সালের ৩১ মে যোরহাট দায়রা আদালত প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় ও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে জিৎ কাকতি ও তার চার সঙ্গী—অঞ্জনকুমার শর্মা, ধ্রুবজ্যোতি ভুঁইয়া, অখিল বরদলৈ ও ফটিক দত্তকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। কাকতি, শর্মা ও ভুঁইয়া গটঙা বাগানের সহকারী ম্যানেজার। বরদলৈ বাগানের ওয়েলফেয়ার অফিসার। দত্ত ছিলেন কাকতির বন্ধু।
ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে, রাজ্য সরকারের তরফে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গত বছর নভেম্বর মাসে গুয়াহাটি হাইকোর্ট ৩০২ ও ২০১ ধারায় অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে প্রমাণের অভাবে ধর্ষণের ব্যাপারে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখা হয়।
কিন্তু সেই রায়ের বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল জানান। ১০ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে অভিযুক্তদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
তার জেরেই জিৎ ছাড়া বাকিরা যোরহাট জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। ঘটনার পর ২১ বছরেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ার পরে দোষীদের কারাবাস শুরু হল।
তবে মামলার প্রধান অভিযুক্ত জিৎ এখনও ফেরার। |
|
|
|
|
|