|
|
|
|
স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
ট্রেন স্টেশনে এসে থামল। যাত্রী নিজেও স্টেশনেই রয়েছেন। তবু ট্রেন ধরতে পারলেন না তিনি। বুদবুদের মানকর স্টেশনে প্রায়ই দেখা যায় এই ছবি। যাত্রীদের অভিযোগ, এই স্টেশনে একটি মাত্র টিকিট বুকিং কাউন্টার থাকার কারণে টিকিট কাটতেই অনেক সময় ট্রেন চলে যায়। নতুন টিকিট কাউন্টারের দাবি জানিয়ে নিত্যযাত্রীরা কেন্দ্রের রেলমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
গলসি ১ নম্বর ব্লক ও আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ ট্রেন ধরার জন্য প্রতি দিন এই মানকর স্টেশনটি ব্যবহার করেন। বেশ কিছু লোকাল ট্রেন ও দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন থামে এই স্টেশনে। সারাদিনই থাকে যাত্রীদের ভিড়। এই স্টেশনে আপ ও ডাউন ট্রেনগুলি প্রায় একই সময়ে চলাচল করার কারণে স্টেশনে দু’দিকের যাত্রীদের ভিড়ই থাকে। কিন্তু গোটা স্টেশনে একটিই টিকিট কাউন্টার থাকার জন্য যাত্রীদের টিকিট কাটতে দেরি হয়। আগে টিকিট কাউন্টারটি স্টেশনের ভিতরে ছিল। কিছু দিন আগে স্টেশনের বাইরে একটি নতুন টিকিট ঘর তৈরি করে স্টেশনের ভিতরের কাউন্টারটি সেখানে আনা হয়। কিন্তু কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। ফলে বেশির ভাগ সময়েই এই কাউন্টারটিতে ভিড় লেগে থাকে।
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন আসার বেশ কিছুটা আগে না গেলে না গেলে নির্দিষ্ট ট্রেনের টিকিট কাটার আগেই ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে যায় বলে। তাঁরা আরও জানান, টিকিট কাউন্টারে মাঝে মধ্যে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ার কারণে টিকিট না কেটেই অনেক যাত্রী ট্রেন ধরতে বাধ্য হন। স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “স্টেশনে যাত্রীদের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু একটি মাত্র টিকিট বুকিং কাউন্টার থাকায় খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের আশা ছিল, নতুন টিকিট কাউন্টারের ঘর তৈরি হওয়ার পরে বুকিং কাউন্টারের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু সেটা মনে হচ্ছে আর হল না।” নিত্যযাত্রী সুকুমার পাল বলেন, “টিকিট কাউন্টারের জন্য নতুন ঘর চালু হওয়ার পরে আমাদের রোদ, জলে দাঁড়াতে হয় না। কিন্তু ভিড় কমেনি। আরও একটি নতুন বুকিং কাউন্টার খোলার জন্য নিত্যযাত্রীদের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমাদের আশা, রেলমন্ত্রক মানকর স্টেশনের এই সমস্যা দুর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।”
মানকর স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|