পিংলা থেকে মুম্বই
পটের উড়ান
য়েক দশক আগেও গাঁ-গঞ্জে ঘুরে মনসামঙ্গল, বেহুলা, অন্নদামঙ্গলের বারোমাস্যা গেয়ে বেড়াতেন পটুয়ারা। তাতেই জুটত চাল, ডাল, আলু আর সামান্য নগদ। এক সময়ে প্রায় লোপ পেতে-পেতে থিম পুজোর হাত ধরে কলকাতায় পৌঁছে নতুন শ্বাসবায়ু, নতুন বাজার খুঁজে পেয়েছিল বাংলার সাবেক পটশিল্প। এ বার তার নতুন উড়ান দেখল মুম্বই। সেই সঙ্গে গোটা বিশ্ব। সদ্য পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থেকে পটশিল্পীরা গিয়ে হাতের জাদু দেখিয়েছেন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন দ্বিতীয় টার্মিনালে। বহুচর্চিত ‘দ্য আর্ট ওয়াক’-এর ‘ইন্ডিয়া সিমলেস’ বিভাগে শোভা পাচ্ছে তাঁদের সৃষ্টি। সনাতন শৈলি ও বিষয়ের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে স্পষ্ট নতুন ঘরানার শিল্পীদের নিজস্ব স্বর।
সাবেক মঙ্গলকাব্যের বদলে প্যানেলে ফুটে উঠেছে কলকাতা শহর গড়ে ওঠার গল্প। পাল্টে যাওয়া সময়ের সঙ্গে যুঝতে কয়েক দশক ধরেই স্বতন্ত্র প্রকাশভঙ্গিমা ও সমসাময়িক বিষয় সন্ধান করছেন তরুণ ও প্রতিভাবান পটশিল্পীরা। পিংলায় তেমন শিল্পীদেরই গ্রাম নয়া। গ্রামের পাঁচ শিল্পী মনু চিত্রকর, আনোয়ার চিত্রকর, গুরুপদ চিত্রকর, মন্টু চিত্রকর আর সানুয়ার চিত্রকর বিমানবন্দর তৈরির পর্বে ডাক পেয়েছিলেন। কর্তাদের পছন্দ-অপছন্দ বুঝে কলকাতায় তিন মাস ধরে তাঁরা গড়ে তোলেন তাঁদের পট। পরে সেটি নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইয়ে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি নয়া টার্মিনালের উদ্বোধনেও নিমন্ত্রণ হয়েছিল তাঁদের। অন্য প্রদর্শনী থাকায় সানুয়ার যেতে পারেননি। বাকিরা গিয়েছিলেন। মুম্বইয়ের কাজ ফুরিয়েছে। কিন্তু বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ডাক আসছে। সম্প্রতি মুম্বইয়েই প্রিন্স অব ওয়ালেস মিউজিয়ামে দেখানো হয়েছে আনোয়ারের কাজ। নিউইয়র্ক থেকেও বরাত এসেছে নয়ায়। গ্রামেই শিল্পীরা গড়ে তুলেছেন ‘ক্লাস্টার’ তার নাম ‘চিত্রতরু’। ফি রবিবার কচিকাঁচা ভবিষ্যৎ সেখানে তালিম নেয়। মাস্টারি করেন আনোয়ার বা স্বর্ণ চিত্রকরেরা। বাকি থাকে গান। নবরূপে পট যখন বিশ্বজয়ে বেরিয়েছে, অকৃত্রিম পটের গান শুধু শিল্পীর অন্তরেই থেকে গেল।


তুলি নয়, কলম
পঁচিশ বছরের ঠিকানাকে ফিরে দেখছেন যোগেন চৌধুরী। সে দেখা কেবল শিল্পী কিংবা শিক্ষক হিসেবে দেখা নয়, যথেষ্ট কড়া সমালোচকের চোখে দেখা। ১৯৮৭-তে কলাভবনে শিক্ষকতার সূত্রে শান্তিনিকেতনে থাকতে শুরুর করার কিছু পরেই শান্তিনিকেতনের পরিবেশ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিলেন শিল্পী। নানা পত্রপত্রিকায় তখন প্রকাশিত হয়েছিল বেশ কয়েকটি লেখা। সে সব আজও প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি। তাই সেই লেখাগুলি সংকলিত করার উদ্যোগ এই ২০১৪য়, জানাচ্ছেন যোগেনবাবু। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বই আমাদের শান্তিনিকেতন আমাদের সব হতে আপন (গন্ধর্ব প্রকাশন, ৩০.০০)। রানী চন্দ, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি আর শান্তিনিকেতনের নানা আলোকচিত্রে সাজা বইটির ভূমিকায় যোগেনবাবু লিখেছেন, “কয়েকবছর আগে শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো থেকে হেরিটেজ জোন হিসেবে স্বীকৃতি দেবার কথা চলছিল। সে বিষয়টি নিয়ে এখন আর কিছু শুনতে পাচ্ছি না। তা ছাড়া নতুন অডিটোরিয়াম, বুকশপ এবং বিশ্বভারতীর শিল্পকলা সংগ্রহগুলি নিয়ে খুবই প্রয়োজনীয় বড় আকারের একটি মিউজিয়াম গড়ে তোলার কথা চলছিল। সে সব বিষয় নিয়েও আর কিছু শুনছি না।”

গেরস্ত স্ট্রবেরি
টিভি-র পর্দা জুড়ে স্ট্রবেরির ছবি দেখে তাঁর বছর তিনেকের ছেলে বায়না ধরেছিল, “বাবা, স্ট্রবেরি গাছ লাগাও না, প্লিজ!’’ মরসুমে বাহারি ফুল ফলিয়ে বাগান ভরিয়ে রেখেছেন তিনি। পিটুনিয়া, গ্ল্যাডুলাস, জিনিয়া। তা নিয়ে কিঞ্চিৎ গর্বও রয়েছে তাঁর। তবু এক মাত্র ছেলের আব্দার বলে কথা। শ্যামনগরের গুড়দহ থেকে জগদ্দলের সুন্দিয়া হাইস্কুলের অঙ্কের কড়া শিক্ষক মুক্তকমল পাল তাই ছুটেছিলেন কল্যাণী। সেখান থেকে খান দশেক স্ট্রবেরির চারা এনে ছাদেই লাগিয়েছিলেন আট ইঞ্চি টবে। ভরা শীতে দেখতে-দেখতে গোটা চল্লিশ গাছ হয়েছে। ফলও হয়েছে দেদার। একতলা সেই আটপৌরে বাড়ির ছাদ এখন স্ট্রবেরিময়। স্কুল থেকে ফিরেই এখন এক কাপ চা হাতে ছাদে উঠে স্ট্রবেরি বাগানে হারিয়ে যান মুক্তিকমল। ছোট্ট ছেলেটা চারপাশে দৌড়ে বেড়ায়। ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজ নামে একটি ছবি বানিয়েছিলেন বার্গম্যান সাহেব। বাঙালির ছাদে এমন গেরস্ত স্ট্রবেরির হদিস তাঁর জানা ছিল না।

স্কুলের সংগ্রহে
পালকি থেকে জাঁতা, ঢেঁকি থেকে হুঁকো, লাঙল থেকে তালপাতার পাখা। কিংবা খেজুরচেটা, চাষের কাজে সেচ দেওয়ার ডোঙা, সোনার পুরনো ওজনযন্ত্র, পুরনো পিতলের বাসন, পিতলের বাজপাখি, বৃষকাষ্ঠ, নকশা কাঁথা, শিকে, টেরাকোটার ও পাটের কাজের জিনিসপত্র, পুরনো গ্রামাফোন, কাঠের পুতুল, পূর্ব মেদিনীপুরের পটত্র-সহ প্রায় শতাধিক পুরনো সামগ্রী নিয়ে আমতার খড়িয়পে ১৪৪ বছরের খোড়প হাইস্কুলে সাজা হল সংগ্রহশালা। গত এক বছর ধরে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বহু জিনিস সংগ্রহ করেছেন। হাওড়া জেলার আমতা, শ্যামপুর, জয়পুর, উদয়নারায়ণপুর ছাড়াও মুশির্দাবাদ, জলপাইগুড়ি, বীরভূম থেকে কিছু সামগ্রী এসেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ গৌতম হালদার বলেন, “সংগৃহীত জিনিসগুলির কোনওটিই ৫০-১০০ বছরের বেশি নয়। কিন্তু স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই ভাল উদ্যোগ।”

চৌকাঠ অন
বাঙালির ঘরে-ঘরে কবি আর পাড়ায়-পাড়ায় লিটল ম্যাগাজিন। এই চেনা চৌহদ্দির চৌকাঠ পেরোতেই ওরা বের করে ফেলেছে ঝাঁ-চকচকে একটি অনলাইন পত্রিকা। ওদের কথায়, “এ এমন জিনিস যা আপনি হাতের মুঠোয় ধরতে পারবেন না, জন্মদিনে কাউকে উপহারও দিতে পারবেন না। চৌকাঠ একটিা হোঁচট-প্রবণ অনলাইন পত্রিকা।” ওরা শুভ, শান্তনু, শৌভিক, মানালি, সৌমিক, সব্যসাচী। নিবাস বহরমপুর। সবে গত ডিসেম্বরে পথচলা শুরু হয়েছে, দিন দশ-পনেরো বাদে-বাদে আসছে ‘আপডেট’। গল্প, কবিতা, ছবি তো আছেই। তার বাইরে বড় বিশেষত্ব ‘বিতর্ক’ বিভাগ। সেখানে ‘কমেন্ট’ লিখে আগ্রহী পাঠক সরাসরি বিতর্কে যোগ দিতে পারেন। স্বভাবতই বহরমপুর চৌকাঠের স্টলে একটিও বই ছিল না। তার বদলে ছিল ল্যাপটপ। উৎসাহী পাঠক মাউস টিপে চোখ বুলিয়েছেন www.choukath.com-এ। ইতিমধ্যে প্রকাশিত নানা ছবি ও কবিতার কোলাজ দিয়ে সাজানো স্টলে টিভিতে চলেছে পত্রিকার প্রোমোশনাল ভিডিও। চৌকাঠ-এর নিজস্ব টি-শার্ট এবং বুকলেটও মিলেছে।

আলো-আঁধারি
আলোয়-আঁধারে অবয়বের সুষমা ধরে রাখে ক্যামেরা। ছবি বলে তাকে। তেমন করে তোলা হলে অবয়বের প্রত্যক্ষতা ভেদ করে কোথায় যেন বোনা হয়ে যায় কবিতা। অপ্রত্যক্ষ, বিমূর্ত। যেমন কিছু কবিতা আবার শরীরে ধরে রাখে বর্ণময় বহু ছবি। সম্প্রতি যারা কাছে ছিল নামে একটি ছবি-কবিতার সংকলন প্রকাশ করে দুইয়ের মেলামেশার সেই চেনা খেইটাই ফের ধরিয়ে দিয়েছেন অনির্বাণ দাশগুপ্ত ও অর্ণব ঘোষাল। দু’জনেরই সাকিন আপাতত শান্তিনিকেতন।
অনির্বাণ নিজের পেশায় প্রতিষ্ঠিত, বিশ্বভারতী হাসপাতালের চিকিৎসক। যদিও ভিতরের টান কবিতার দিকে, ছবির দিকে। অর্ণব কেজো কিছু করেন না। শুধু ক্যামেরায় ধরে রাখেন ছেঁড়া চপ্পল, তোবড়ানো ডাব, চশমার ঘষা কাচ, ভাঙা ডাকবাক্স, দেওয়াল জোড়া মীরাবাঈয়ের সামনে তারে মেলা প্যান্ট-গেঞ্জি-তোয়ালে। অর্ণবের জবানিতে: ‘একদিন নিজের লেখা বাছাই কিছু কবিতা একটা ফাইলে নিয়ে অনির্বাণদা হাজির আমার বাড়িতে। বললেন, ‘একটা কিছু করলে হয় না... একসঙ্গে’। ছোট-বড় ছাব্বিশটি কবিতা ও ছত্রিশটি সাদা-কালো ছবি সাজিয়ে গড়া সেই ‘একটা কিছু’ শেষ হয় জলের ধারে পা ভিজিয়ে দাঁড়ানো একা চেয়ারের কাছে এসে। পাশে লেখা, ‘রেখেদিস যেটা ভাল/ বাকিগুলো/ স্মৃতিতেই থাক।/ চেয়েনিস ধার বাকি,/ যত ফাঁকি/ আমার একার।

সমনামী
আমাদের লালগড় ছাড়াও আছে অন্তত আরও ১৩টি লালগড়। শুধু বিভিন্ন রাজ্যে নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়েও মিলছে ‘নেমসেক’। বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলায় দু’টি লালগড় গ্রাম রয়েছে। একটি জোগাপতি ব্লকে, অন্যটি চানপাটিয়া ব্লকে। ঝাড়খণ্ডে কোডারমা, বোকারো ও রাঁচি জেলায় রয়েছে তিনটি লালগড়। মধ্যপ্রদেশে তিনটি, রাজস্থানে চারটি, হরিয়ানায় একটি। সীমান্ত পেরিয়ে পড়শি পাকিস্তানে পঞ্জাব প্রদেশের বাজনপুর জেলাতেও রয়েছে লালগড় নামে একটি গ্রাম। জঙ্গলমহলের লালগড় থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সুস্বন-এর ১৩তম বর্ষে চতুর্থ সংখ্যায় এমন পনেরোটি লালগড়ের হদিস দিয়েছেন বিকাশ রায়।

ফুলমনি
নামভূমিকায় পূর্বস্থলী থানার কনস্টেবল কৃষ্ণা সাহা। প্রেমিক বর্ধমান জেলা পুলিশ লাইনের আর্মার সেকশনের মুনশি জিতেন বাস্কে। নায়িকার বাবা জেলা পুলিশেরই ব্যান্ডবাদক নগেন মাড্ডি। আলমগঞ্জ ফাঁড়ির কনস্টেবল কৈলাশ মুর্মু হলেন সত্তরোর্ধ্ব বিয়েপাগল বুড়ো। এমনই সব অভিনেতাদের দেখা গেল জেলা পুলিশের নাট্য উৎসবের প্রথম দিন ফুলমনির স্বপ্ন নাটকে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুফল দেখানো এই নাটকটির নির্দেশক জেলা পুলিশ সুপারের সহধর্মিনী সাবা মির্জা। লিখেছেন তাঁরই মা আরিয়া বেগম। সাবা বলেন, “মোটে ন’দিন মহলা দেওয়া গিয়েছে। তবু সকলে প্রাণপণে খেটেছেন। পুলিশ লাইনে, টাউনহলে ঘুরে-ঘুরে রাত দুটো-আড়াইটে পর্যন্ত মহলা দিতে কারও ক্লান্তি দেখিনি।”

বইয়ের জয়
আমরা তো অল্পে খুশি,/ কী হবে দুঃখ করে?/ আমাদের দিন চলে যায়/ সাধারণ ভাতকাপড়ে... নিজের ‘নুন’ কবিতাটি পড়ছিলেন জয় গোস্বামী। গত ১২ ফেব্রুয়ারি, অন্ডাল বইমেলার শেষ দিনে। সঙ্গে ছিলেন সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী কাবেরীও। বর্ধমানের খনি অঞ্চলের এই ছোট্ট বইমেলায় এসে খানিকটা আবেগপ্রবণই হয়ে পড়েন কবি। জয়ের কথায়, “মোটে ৩০-৩৫টি বইয়ের স্টল। কিন্তু মেলা ভিড়ে ঠাসা। কলকাতা থেকে এত দূরে বই নিয়ে মানুষের এই উৎসাহ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি।” ফেরার পথে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে আধ ঘণ্টা ঘরোয়া আড্ডাও দিয়ে যান তাঁরা।

বালির ইজেলে
অভাবের সংসারে আঁকার খাতা কিনে দিতে পারেননি বাবা বাবা। তাই সাগরবেলায় হু-হু বালিচর হয়ে উঠেছিল ইজেল। রং পেনসিল জোটেনি। তাই বালিতে আঁচড় কেটেছে হাতের দশ আঙুল। মোটে সাত বছর বয়সে পুরীর সমুদ্র সৈকতে বালি দিয়ে গড়েছিলেন জগন্নাথদেবের প্রতিকৃতি। সেই ছেলেই এখন বছর ছত্রিশের পেশাদার বালি-ভাস্কর। পেটের দায়ে এক দিন যাঁকে লোকের বাড়িতে কাজ পর্যন্ত করতে হয়েছে, তিনি আজ বাহরিন উড়ে যাচ্ছেন তো কাল বার্বাডোজ। পকেটে অন্তত সাতাশটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ‘পদ্মশ্রী’ সুদর্শন পট্টনায়ক নামটা এখন গোটা দেশ তো বটেই, বিদেশেও বহুজন এক ডাকে চেনেন। ১৯৯৮ সালে লন্ডনে ইউ কে পর্যটন উৎসবে আসে প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ২০০১-এ ‘ভারতজ্যোতি’ এবং ২০০৪-০৫ অর্থবর্ষে ন্যাশনাল ইউথ অ্যাওয়ার্ড পান। ২০০৫-এ জার্মানি, ২০০৮-এ ডেনমার্ক, ২০১২ সালে রাশিয়ায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ছিনিয়ে নেন সেরার খেতাব। লিমকা বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে পাঁচ বার। ওড়িশার বহরমপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি দিয়েছে। রাজ্যের বালিশিল্পের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ তিনি। ওড়িশা ললিতকলা অ্যাকাডেমিরও সদস্য। এখনও অবধি বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশের সমুদ্র সৈকতে ভাস্কর্য গড়েছেন সুদর্শন। ক’দিন আগে দিঘায় সমুদ্র উৎসবে এসে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোর্ট্রেট। সঙ্গে নারীশক্তির প্রতীক হিসেবে মুষ্টিবদ্ধ দু’টি হাত। নিজের কাজের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য পুরীতে গড়েছেন ইন্ডিয়ান স্যানড স্কাল্পচার ইনস্টিটিউট। ছাত্রছাত্রীদের বলেন, “জীবনের কোনও কিছু ফেলনা নয়। ইচ্ছা, একাগ্রতা, অধ্যবসায় থাকলে সাফল্য আসবেই।” বাবা পঙ্কজ পট্টনায়ক তাঁকে যা-যা দিতে পারেননি, সবই তিনি উজাড় করে দিয়েছেন ছ’বছরের মেয়ে স্যানবি-কে। কিন্তু ওই কথা ক’টি তাকেও বারবার বলতে ভোলেন না। স্যানবি কিছুটা বোঝে, কিছুটা বোঝে না। খালি হাসে। বালিতে ঢেউ ভাঙে।

Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.