জেলা নয়, মিড ডে মিলের টাকা এ বার সরাসরি ব্লক-পুরসভায়
তদিন মিড ডে মিলের টাকা আসত জেলায়। তারপর খরচের হিসেব দেখে জেলা থেকে পাঠানো হত ব্লকে বা পুরসভায়। বিডিও বা পুরপ্রধানেরা সেই টাকা দিতেন স্কুলে।
এ বার থেকে আর জেলায় টাকা আসবে না। সরাসরি তা যাবে সংশ্লিষ্ট বিডিও বা পুরপ্রধানের কাছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই পদ্ধতিতে কিছু ক্ষেত্রে স্কুলগুলির টাকা পেতে দেরি হত। কারণ, জেলাশাসকের নামে টাকা আসত। তা ট্রেজারি থেকে বিভিন্ন ব্লকে পাঠানো হত। তারপর ব্লক তা দেখে স্কুলে দিতেন। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগত। তাই এ বার ব্লক ও পুরসভাতেই সরাসরি টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সরাসরি জেলা বা পুরসভায় টাকা গেলেও জেলা প্রশাসনের নজরদারি কিন্তু থাকবে একই রকম। কারণ, ব্লক বা পুরসভাকে যে টাকা পাঠানো হবে তা কেবল রান্নার খরচ ও রান্নীদের ভাতা। চাল পাঠানোর দায়িত্ব থাকছে জেলার উপরেই। যেখান থেকেই মিড ডে মিল চালানোর খরচও বোঝা যায়। যেমন প্রাথমিকের ছাত্র পিছু ৩ টাকা ৫১ পয়সা ও আপার প্রাইমারি এবং শিশু শ্রমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য রান্নার খরচ ও রান্নীর ভাতা বাবদ ৫ টাকা দেওয়া হয়, তেমনি চালেরও হিসাব রয়েছে। প্রাথমিকে গড়ে ১০০ গ্রাম ও অন্যরা দেড়শ গ্রাম চালের ভাত খায় ধরে নেওয়া হয়। সেই হিসাবেই চাল পাঠানো হয়। মাসের শেষে রেশন ডিস্ট্রিবিউটারদের কাছে খবরও নিয়ে নেওয়া হয় কত চাল থেকে গিয়েছে। তার থেকেই অনুমান করে নেওয়া যায় কতজন ছাত্রছাত্রী মিড ডে মিলের রান্না খেয়েছে। ফলে ব্লক স্তরে টাকা গেলেও জেলা থেকেও খরচের নজরদারি চালানো হবে বলেও মিড ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ব্লকে সরাসরি টাকা গেলেও মিড ডে মিল যাতে ভালভাবে চলে সে জন্য জেলা থেকেও নজরদারি চালানো হবে।”
৯টি নতুন উচ্চ প্রাথমিক স্কুল হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে ৭টি ও দাঁতন-২ ব্লকে ২টি। স্কুলগুলি চালু হয়ে গিয়েছে বলে ব্লক থেকে জানানো হয়েছে। ওই ৯টি স্কুলে যাতে অবিলম্বে মিড ডে মিল চালানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয় সে জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষা দফতরের অনুমোদন পাওয়ার চিঠির পাশাপাশি স্কুলে ইতিমধ্যেই ১০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে জানতে পারলেই মিড ডে মিল চালানোর অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে। জেলা শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে সেই চিঠিও চেয়েছে প্রশাসন। অনেক সময় স্কুলে কম ছাত্র আসায় প্রকল্পের সব টাকা খরচ হয় না। তা ব্যাঙ্কে জমা থাকে। ব্যাঙ্কে জমা থাকলেও তা থেকে সুদ পাওয়া যায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। রাজ্যের সর্বত্রই এই চিত্র। ওই বাড়তি টাকায় চলতি মাসে অতিরিক্ত একদিন খাবারের সঙ্গে ডিম দিতে বলা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, আগে সপ্তাহে ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিলে ১দিন ডিম দেওয়া হত। তার পরিবর্তে চলতি মাসে সপ্তাহে ২ বার ডিম দেওয়া হবে মিড ডে মিলে। সর্বত্রই তা হচ্ছে বলেও প্রশাসনের দাবি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.