বিধি অগ্রাহ্য করে শিলিগুড়িতে ফের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ছড়াতে এক চক্র সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে পুরসভায়। কিছু ব্যবসায়ীর মদতে ফের শহরে নানা এলাকায় চোরাগোপ্তা ক্যারিব্যাগ ব্যবহার শুরু হয়েছে। যে শহর এক সময়ে ‘প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ’ মুক্ত শহর প্রশংসা আদায় করে, সেই শিলিগুড়ির সুনামহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই চক্রের বিরুদ্ধে। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ফের চালুর জন্য কিছু নেতার কাছে কয়েক জন ব্যবসায়ী দরবার করছেন বলে পুরসভায় খবর পৌঁছেছে। এ অবস্থায় পুরসভার তরফে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ রুখতে জোরকদমে কেন অভিযান ও প্রচারে নামা হচ্ছে না তা নিয়ে নানা মহলে ধন্দ রয়েছে।
তবে শিলিগুড়ি পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মেয়র পারিষদ কাজল চন্দ দাবি করেছেন, প্লাস্টিক ক্যরিব্যাগের বিরুদ্ধে রোজই অভিযান চলছে। গড়ে দেড় হাজার প্লাস্টিক ক্যরিব্যাগ বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। কাজলবাবু বলেন, “আমাদের কাছে প্রতিদিনই অভিযোগ আসে। আমার এটা বন্ধ করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছি। বিপুল সংখ্যায় ব্যবহারকারীদের ধরে জরিমানা করা হচ্ছে। আমরা আরও প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” যদিও শহরে প্লাস্টিক ক্যরিব্যাগ বেড়েছে বলে মনে করছেন না শহরের মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তিনি বলেন, “দু একটি জায়গায় ব্যবহার হলেও শহরের বহু জায়গায় ক্যরিব্যাগ নজরে পড়ে না। আমার লাগাতার অভিযান চালাচ্ছি।” পাশাপাশি নাগরিকদেরই এই বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
শহরের বাজারগুলিতে ক্যারিব্যাগ লেনদেন ফের শুরু হয়েছে। গেট বাজার, হায়দরপাড়া বাজার, ফুলেশ্বরী বাজার, ঝংকার মোড় বাজারে দেদার ব্যবহার হচ্ছে ক্যারিব্যাগ। এ ছাড়া কিছু পরিমাণে শান্তিনগর-বৌবাজার, মহাবীরস্থান-রেলগেট বাজার, বিধান মার্কেট, সুভাষপল্লি বাজার, ভক্তিনগর বাজারে ক্যারিব্যাগ দিচ্ছেন বিক্রেতারা বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সে সব এলাকার সঙ্গে লাগোয়া পঞ্চায়েত বাজার বা হাট রয়েছে, সেখানে ক্যারি ব্যাগ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের রমরমায় হতাশ পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদের দায়িত্ব সামলানো সুজয় ঘটকও। তাঁর আমলেই প্রথম শিলিগুড়ি শহর প্লাস্টিক বর্জিত শহর হিসেবে ঘোষিত হয়। সুজয়বাবু বলেন, “ক্যারিব্যাগ নিয়ে অভিযোগ এসেছে। ওই দফতর এখন আমি দেখছি না। তবে পূর্ত বিভাগের দায়িত্বে থেকেও আমরা চেষ্টা করব সচেতনতা বাড়ানোর।” |