টুকরো খবর
গাড়ির ধাক্কায় খুঁটি ভেঙে বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ
গাড়ির ধাক্কায় খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ বিপর্যস্ত হল বিদ্যুৎ পরিষেবা। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার ঘেঁষা দুবরাজপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। কামারশাল মোড়ের কাছাকাছি থাকা ওই বিদ্যুতের খুঁটিটি ভেঙে যাওয়ায় রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ইসলামপুর লাগোয়া বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। তেমনই দীর্ঘক্ষণ ওই রাস্তা অবরুদ্ধ থাকায় যানজট হয়। নাকাল হন সাধরণ মানুষ। এলাকবাসীর ক্ষোভ, কিছুদিন আগেই জতীয় সড়ক সংস্কার হওয়ায় ওই রাস্তায় যান চলাচলের গতি বেড়ে গিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রাতের বেলায় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাঝে মধ্যেই ভারি গাড়ির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তার ধারে থাকা বাড়ি বা অন্য কিছু। এলাকার কিছু বাসিন্দা সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর পরে রাস্তায় একধিক বড় বড় স্পিড ব্রেকার করিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নতুন খুঁটি বসিয়ে দেওয়ায় পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডেও বলেন, “ওই রাস্তায় থাকা স্পিড ব্রেকারগুলি সত্যিই বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। বিপদের সম্ভবনা থাকায় বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।”

রেলেকাটা বধূ, উদ্ধার হল শিশু
রেললাইনের ধারে পড়েছিল এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ। কিছুটা দূরে ধুলোমাখা অবস্থায় বছর দেড়েকের এক শিশু কান্নাকাটি করছিল। মঙ্গলবার দুপুরে আদ্রা-চান্ডিল শাখার পুরুলিয়া ও টামনা স্টেশনের মাঝে এই দৃশ্য দেখে বাসিন্দারা শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। খবর পেয়ে রেলপুলিশ গিয়ে মহিলার দেহটি উদ্ধার করে। টামনার স্টেশন ম্যানেজার শিশিররঞ্জন দে বলেন, “একটি ইঞ্জিন যাওয়ার সময় চালক মহিলার দেহ ও একটি শিশুকে দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। আমি লোক পাঠাই।” ওই স্টেশনের কর্মী বেদনি বাউরি বলেন, “কার বাচ্চা খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলাম কেউই দাবি করছেন না। বাচ্চাটিকে এনে সাফসুতরো করে বিস্কুট খাওয়ালাম।”

সেই শিশু।—নিজস্ব চিত্র।
এলাকাবাসী জানান, দুপুরে ওই মহিলাকে শিশু কোলে রেললাইনের ধার দিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। পরে তাঁরা দেখেন ওই মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে। স্টেশন ম্যানেজার বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ওই মহিলা নিজের সন্তানকে দূরে রেখে আত্মহত্যা করেন। ওঁদের পরিচয় খোঁজা হচ্ছে।” পুরুলিয়া চাইল্ড লাইনের মুখপাত্র দীপঙ্কর সরকার বলেন, “শিশুটিকে পুরুলিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছি। পরে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে তাকে হোমে পাঠানো হবে।”

দুবরাজপুরে তিসি চাষ
ফসলের নাম ‘তিসি’। স্থানীয় ভাবে এই ফসলকে অনেকেই ‘মসনে’ বলে থাকেন। ডাল জাতীয় শষ্যের মতো দেখতে সবুজ গাছগুলিতে ফেব্রুয়ারি মাসের এই সময় হালকা নীল রঙের ফুল ফোটে। কৃষি আধিকারিকদের কথায়, মসনে বা তিসি’র বীজ থেকে তৈরি তেল জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া ভেষজ গুণ থাকায় আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরি, কাঠের আসবাবপত্র পালিশের কাজে ব্যবহৃত। বার্নিশ তৈরিতেও কাজে লাগে। শুধু তাই নয়, এই ফসলের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকায় ছোলার পাশাপাশি তিসি লাগালে ছোলা গাছে রোগের প্রকোপ দেখা যায় না। সেই কারণে, খয়রাশোল ব্লক কৃষি দফতরের উদ্যোগে এবং ‘আত্মা’(এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি) প্রকল্পে ওই ব্লকের কেন্দ্রগড়িয়ায় একটি প্রদর্শনক্ষেত্রও করা হয়েছে।
ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
সামান্য কিছু জমিতে তিসি চাষ হয়েছে দুবরাজপুর ব্লক কৃষি খামারেও। ব্লক সহকৃষি অধিকর্তা দেবব্রত আচার্য (যিনি দুবরাজপুর ব্লকেরও আতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন) বলেন, “তিসি বা মসনে চাষের ভেষজ গুণ, জ্বালানি হিসেবে তিসি তেল ব্যবহার, রোগ প্রতিরোধে এই ফসলের ভূমিকা যেমন রয়েছে তেমনই জৈব সার তৈরিতে ও গবাগি পশুর খাদ্য তালিকায় তিসির খোল রয়েছে।”

খুনের কিনারা হয়নি, ক্ষোভ
ছ-দিন পেরিয়ে গেলেও মুরারই থানার কনকপুর গ্রামের বধূ জাহেরা বিবি (৪৪) খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। এর ফলে এলাকায় ক্ষোভ রয়েছে। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কোটেশ্বর রায় বলেন, “এলাকার কিছু অপরাধী-সহ ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই ঘটনার কিনারা করা যাবে এবং প্রকৃত দোষীদের গেফতার করা হবে।” গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঘর থেকে বধূটির দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, ওই বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। বধূর স্বামী পেশায় বাহাদুরপুর গ্রামে মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক আতাউর রহমান পুলিশের কাছে কারও নামে সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগও করেননি। পুলিশ জানায়, বধূটির স্বামী সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। নিহত মহিলার বড় মেয়ের কাছ থেকে নতুন কিছু তথ্য মিলেছে বলে পুলিশের দাবি।

ফের কংগ্রেসেই ফিরলেন সদস্যা
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দু’দিন পরে ফের পুরনো দলেই ফিরলেন দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতের সান্ত্বনা লেট নামে আরও এক কংগ্রেস সদস্য। রবিবার দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন কবীর, উপপ্রধান অসিত মাল-সহ ৫ কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সোমবার উপপ্রধান কংগ্রেসে ফিরে আসেন। অসিতবাবুর অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত প্রধান ভুল বুঝিয়ে তারাপীঠ নিয়ে গিয়ে তাঁদেরকে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছিলেন। সান্ত্বনা লেটও অভিযোগ করেন, “পঞ্চায়েত প্রধানই আমাদেরকে তারাপীঠ নিয়ে যান এবং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য বাধ্য করেছিলেন। তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য তৃণমূল ঢুকতে বাধ্য করেন।” প্রধান হুমায়ুন কবীর অবশ্য দাবি করেন, ‘প্রত্যেকে নিজস্ব মতামত দিয়ে স্বেচ্ছায় দলত্যাগ করেছিলেন। এখন এলাকার কিছু মানুষের ভয়ে ওঁরা কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার কথা বলছে। বাকিরা ওই সব হুমকিতে ভয় না পেয়ে আমার সঙ্গেই আছেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.