বিজেপি কোচবিহার জেলা সম্পাদকের গ্যারাজে কৌটো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাতে অসম লাগোয়া তুফানগঞ্জের বলরামপুর চৌপথী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের গাড়িটির সামনের দিকের কাচ ভেঙে গিয়েছে। সামনের অংশেরও ক্ষতি হয়েছে। নাককাটিগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর চৌপথী এলাকার বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতার নাম উজ্জ্বলকান্তি বসাক। বাড়ির সামনে তিনদিকে দরমার বেড়া দেওয়া গ্যারেজ ঘর রয়েছে। সেখানেই তিনি তাঁর ছোট গাড়ি রাখতেন। গ্যারেজের সামনের অংশ খোলা ছিল। রাত ১২টা নাগাদ হঠাৎ গ্যারাজ ঘরের দিক থেকে শব্দ পাওয়ায় বাড়ির লোক সেখানে ছুটে যান। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “দুষ্কৃতীরা এলাকায় অশান্তি ছড়াতে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব সরাসরি কারও নাম না করলেও ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকার আশঙ্কাই উড়িয়ে দিতে পারছেন না। জেলা সাধারণ সম্পাদক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “উজ্জ্বলবাবু এলাকায় ভাল সংগঠক বলে পরিচিত। লোকসভা ভোটের মুখে কোনও রাজনৈতিক দল তাকে ভয় দেখাতে ওই কাজ করতে পারে। তা ছাড়া অসম লাগোয়া ওই মহকুমায় কেএলও’র দৌরাত্ম্য রয়েছে। সেই সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না।”
উজ্জ্বলবাবু এ দিন বলেন, “প্রচণ্ড শব্দে বাইরে বেরিয়ে গ্যারাজের কাছে গিয়ে দেখি গোটা চত্বর কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। পরে গাড়িটি দেখি। আমার কারও সঙ্গেই বিরোধ নেই। কেউ কখনও হুমকিও দেয়নি। কারা কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।”
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ‘সাজানো’ বলে দাবি করেছে। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, “এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর পাশাপাশি প্রচারের আলোয় আসতে বিজেপি-র লোকেরা নিজেরাই ওই কাজ করেছে। তদন্ত করা হলে সব স্পষ্ট হবে।” বিজেপি-র নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করেন। |