স্বাস্থ্য-শিক্ষায় জোর রাজ্যে
গামী অর্থবর্ষে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ২২১১.০৬ কোটি এবং ৭৭৭৬.৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। এই দু’টি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র প্রসূতি-মৃত্যুর হার কমা, ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান, ন’টি ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরির কথা উল্লেখ করেছেন। ৩১টি নতুন সরকারি কলেজকে ছাড়পত্র দেওয়া থেকে সেন্ট জেভিয়ার্স, প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাসের জন্য জমি দেওয়ার কথাও বলেছেন।
সোমবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিশেষ নজর দিচ্ছেন। প্রসূতিদের চিকিৎসার জন্য অনেকগুলি নতুন ইউনিট খোলা হচ্ছে। ১২টি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের কাজও শুরু হবে।
কেবল প্রসূতি চিকিৎসাই নয়। অর্থমন্ত্রী জানান, সদ্যোজাতদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার জন্য ৩৬টি সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ) ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। আরও ১২টি চালু হবে শীঘ্রই। এ ছাড়া ১২৪টি সিক নিউবর্ন স্টেবিলাইজেশন ইউনিটে (এসএনএসইউ) অতি দ্রুত কাজ শুরু হবে। আরও কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে অসুস্থ সদ্যোজাতদের চিকিৎসার জন্য নিও নেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (নিকু) এবং পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু) তৈরি হচ্ছে।
এর আগে পিপিপি মডেলে হাসপাতাল তৈরির সরকারি উদ্যোগ সাফল্য পায়নি। অমিতবাবু জানান, নতুন ভাবে এই পদ্ধতি কার্যকর করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। কোচবিহার, নদিয়া, ভাঙ্গড় এবং দার্জিলিংয়ে পিপিপি মডেলে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। ৪৭টি সরকারি হাসপাতালে পিপিপি মডেলে এক্স-রে, এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ডায়ালিসিস চালু হবে এ বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
স্বাস্থ্যের পরেই শিক্ষা বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। জানান, স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্যে ৩২টি সরকারি কলেজ তৈরি হয়েছিল। অথচ তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ইতিমধ্যেই ৩১টি সরকারি কলেজ গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বাঁকুড়া, কোচবিহার, আসানসোল, রানিগঞ্জ এবং ডায়মন্ড হারবারে পাঁচটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এ ছাড়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও তৈরি হয়েছে রাজ্যে। উচ্চশিক্ষা খাতে এ বছর ৩৪২.৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু এতগুলি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গড়া, আসন সংরক্ষণের পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজ এই বরাদ্দে কী করে হবে, তা নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের কিছুটা সংশয় রয়েছে।
স্কুলশিক্ষা খাতে বরাদ্দ অনেক বেশি ৬৮৮৪.৫ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী জানান, ৯৯ শতাংশেরও বেশি প্রাথমিক স্কুল এবং ৯৮ শতাংশ উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে মিড-ডে মিল চালু হয়ে গিয়েছে। ৯৮.২৬ শতাংশ স্কুলে শৌচাগার এবং ৮২ শতাংশ স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার হয়েছে বলে জানান তিনি। পরবর্তী অর্থবর্ষে ৩৯৭টি স্কুলকে মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ও ৫০টিকে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া, ১১১টি নতুন প্রাথমিক স্কুল এবং ৪৫২টি নতুন উচ্চ প্রাথমিক স্কুল তৈরি হবে। কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দফতরের জন্য ৫৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে আগামী অর্থবর্ষে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় এ বছর মার্চের মধ্যে ১৫ লক্ষ মেয়েকে নিয়ে আসা যাচ্ছে। আগামী অর্থবর্ষে আরও ২০ লক্ষ মেয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আসবে বলে অর্থমন্ত্রী জানান। অনেকগুলি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও তৈরি হচ্ছে একাধিক দফতরের উদ্যোগে। নারী ও সমাজকল্যাণ এবং শিশুকল্যাণ দফতরের জন্য যথাক্রমে ৭৭০.৭৬ কোটি এবং ২৪২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.