মেঘ কাটতেই বরফ-ছোঁয়া বাতাস অবাধ
রাতেই বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। সোমবার সকাল শুরু হয়েছিল মেঘলা আকাশ দিয়ে। তবে বেলা বাড়তেই মেঘ উধাও। ঝকঝকে আকাশে দিনভর ঝলমল করল সূর্য। আর তার সঙ্গী হয়ে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে ঢুকতে শুরু করল ঠান্ডা উত্তুরে বাতাস।
উপগ্রহ চিত্র জানাচ্ছে, বিহার-ঝাড়খণ্ডের উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্তটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে উত্তর ভারত থেকে বয়ে আসা হিমশীতল উত্তুরে হাওয়ার পথ খুলে গিয়েছে, যার জেরে বিকেলের পরে বেড়েছে শীত। সকাল পর্যন্ত আকাশে মেঘ থাকায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামতে পারেনি, কিন্তু আগামী দু’দিনে পারদে আরও পতনের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন আবহবিদেরা। ওঁদের বক্তব্য, একেই উত্তুরে হাওয়ার বাধা কেটেছে, উপরন্তু এ দিনের অধিকাংশ সময়ে কড়া রোদ থাকায় সূর্যাস্তের পরে মাটি থেকে তাপ বিকিরণের হার বেড়েছে। আজ থেকে এর প্রভাব মালুম হবে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের অনুমান, বিহার-ঝাড়খণ্ড হয়ে যে হারে উত্তুরে বাতাস বাংলায় ঢুকছে, তাতে বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে। বিহার-ঝাড়খণ্ডে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতার জেরে এ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিরও নীচে নামতে পারে। দার্জিলিং পাহাড়ে বরফ পড়ায় উত্তরবঙ্গেও পারদ নামার সম্ভাবনা। আলিপুরের হিসেবে, কাশ্মীর-হিমাচলের বরফ-ছোঁয়া উত্তুরে বাতাস বুধবার নাগাদ এ রাজ্যেও পুরোদস্তুর জাঁকিয়ে বসবে। তার দৌলতে প্রথম ফাল্গুনে ফিরতে পারে ভরা মাঘের শীত। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, “মেঘমুক্ত আকাশ পেয়ে উত্তুরে হাওয়া ঢুকবে। গোটা রাজ্যে তাপমাত্রা দ্রুত হারে নামার সম্ভাবনা। পশ্চিমের জেলায় শৈত্যপ্রবাহও হতে পারে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.