|
|
|
|
সিপিএম নেতার বাড়িতে হামলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সদ্য জামিন পাওয়া সিপিএম নেতার বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার এই ঘটনার জেরে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে ডেবরার চকবাজিত এলাকার গোটগেড়িয়া গ্রাম। তৃণমূল কর্মীদের দাবি ছিল, সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক রবীন দত্তের ভাইঝি অনুশ্রীকে গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ ওই নাবালিকাকে থানায় তুলে আনে। এরপর তার মুক্তির দাবিতে অবস্থানে বসেন রবীনবাবু ও তাঁর পরিজনেরা। পরে অনুশ্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আপাতত ওই কিশোরীকে এলাকার বাইরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
কিছু দিন আগে চকবাজিত এলাকায় তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়। সম্প্রতি তাঁরা জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরলে ফের অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, ওই সিপিএম নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ঢুকতে ও কাজে যেতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। রবীনবাবু ও তাঁর ভাই দেবেন্দ্রনাথ দত্তও বাড়ি ফিরতে পারছেন না বলে অভিযোগ। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএমের ওই নেতা-কর্মীরা সাক্ষীদের প্রভাবিত করছে। |
|
ডেবরা থানার সামনে ধর্না। —নিজস্ব চিত্র। |
দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশের দাবি, গোলমাল এড়াতে এলাকায় পুলিশ-পিকেট রয়েছে। অনুশ্রীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানালে রবীনবাবুর ভাই লক্ষ্মীকান্ত দত্ত, ভাইয়ের স্ত্রী কাজল দত্ত, মেয়ে ছন্দা দে-কে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রবীনবাবু এ দিন বলেন, “তৃণমূল আমাদের আত্মসমর্পণের জন্য বলছে। আর পুলিশ তৃণমূলের কথা শুনে আগাম জামিন নেওয়া আমার ভাইঝিকে গ্রেফতার করবে বলছে। আমরা বাড়িতেও ঢুকতে পারছি না।” চকবাজিত এলাকার তৃণমূল বুথ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ দে-র অবশ্য বক্তব্য, “ওঁরা যে ঘটনা ঘটিয়ে জেলে গিয়েছিলেন তা এলাকার মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তাই গ্রামবাসীরা ওঁদের কিছু বলেছে বলে শুনেছি। এতে আমাদের দল জড়িত নয়। তবে রবীন দত্তরা যাতে বাড়িতে ফিরতে পারেন তা দেখব।” চকবাজিত গ্রামে তৃণমূল কার্যালয় পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় গত ৬ ডিসেম্বর এলাকায় ধুন্ধুমার বাধে। তৃণমূলের মিছিল ঘিরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম হন জেলা পরিষদ সদস্য বিবেক মুখোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী। সম্প্রতি সিপিএমের ৪৬ জন জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরেছেন। সিপিএমের ডেবরা জোনাল সম্পাদক সদ্য জামিনপ্রাপ্ত প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, “পুরোটাই মিথ্যে মামলা। তবু আমরা জেল খেটেছি। এখন আবার বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রতন দে-র বক্তব্য, “কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করেছি। যদি সত্যিই আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকে তবে উপযুক্ত পদক্ষেপ করব।” |
|
|
|
|
|