|
|
|
|
ভোটের মুখে নজর জয়রামের মন্ত্রকেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
১৭ ফেব্রুয়ারি |
গত নির্বাচনে ইউপিএ-র সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল ১০০ দিনের কাজের মতো সামাজিক প্রকল্পগুলি। আরও একটা ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে সাফল্যের সেই পথেই ফিরতে চাইল সরকার। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ গত অর্থবর্ষের তুলনায় এক লাফে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি টাকা বাড়ালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন, ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো আমজনতার রুটিরুজি, তাঁদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি পরিকাঠামো গড়ে তোলার বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প রূপায়ণের সঙ্গে জড়িত জয়রাম রমেশের এই মন্ত্রক। রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে দেশের বেহাল অর্থনীতি সামলানো ও আর্থিক সংস্কার চালিয়ে যাওয়ার দায় ঘাড়ে থাকায় চিদম্বরম গত বছর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বরাদ্দ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন। অথচ সেটাই ছিল দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এবং ২০১৪-র ভোট প্রচারে বলার মতো সাফল্যের পুঁজি তৈরির শেষ সুযোগ। পরে আবার অন্যান্য মন্ত্রকের মতো জয়রামের মন্ত্রককেও চিঠি দিয়ে অর্থ মন্ত্রক জানায়, প্রকল্প ধরে ধরে কোথায় কতটা খরচ কমাতে হবে। এতে বেজায় চটেন জয়রাম। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন ও দলনেত্রী সনিয়া গাঁধী উভয়ের কাছেই এ নিয়ে ক্ষোভ জানান তিনি। চিদম্বরম কার্যত প্রায় বিদ্রোহের মুখে পড়েন মন্ত্রিসভাতেই।
অন্তর্বর্তী বাজেটে লাগামছাড়া হওয়ার সুযোগ না থাকলেও এ বারে চিদম্বরম যথাসম্ভব দরাজ হওয়ারই চেষ্টা করলেন এই ক্ষেত্রে। ২ হাজার কোটি টাকার বাড়তি বরাদ্দ নির্বাচন পর্যন্ত প্রকল্পগুলির কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য অক্সিজেন জোগাবে জয়রামকে। এবং কংগ্রেসকেও।
সন্দেহ নেই, সামাজিক ক্ষেত্রে চিদম্বরমের এই বাড়তি নজরের পিছনে রয়েছে দলেরই শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ। অন্তর্বর্তী বাজেটে তফসিলি জাতি-উপজাতি ও আদিবাসী উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৮,৬৩৮ কোটি ও ৩০,৭২৬ কোটি টাকা। তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষ যাতে সহজ শর্তে ছোটখাটো উদ্যোগ গড়ার পুঁজি পান তার জন্য একটি ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড’ তৈরি করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিনান্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া। চিদম্বরম জানান, কিছু পরিবর্তনের পরে ৪০০টি জেলায় চালু হয়েছে শিশু উন্নয়ন প্রকল্প (আইসিডিএস)। এপ্রিল থেকে বাকি জেলাগুলিতেও তা চালু হবে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষের জন্য একটি কৃষি-বন নীতি ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের বরাদ্দ বাড়িয়েছেন তিনি। অন্তর্বর্তী বাজেটেও কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের জন্য রেখেছেন ১০০ কোটি টাকা। পানীয় জল বা নিকাশি মন্ত্রকের বরাদ্দ না বাড়লেও স্বাস্থ্য খাতের বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নজর দিয়েছেন চিদম্বরম। গত এক দশকে ইউপিএ সরকার সংখ্যালঘু উন্নয়নে কী করেছে, তার একটি খতিয়ানও আজ তুলে ধরেন চিদম্বরম। |
|
|
|
|
|