পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে নই, বণিকসভায় কেজরীবাল

১৭ ফেব্রুয়ারি
প্রশাসক হিসেবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন, কারণ সেটা তাঁর কর্তব্য। কিন্তু তা বলে তিনি মোটেই পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে নন। শিল্পপতিদের কাছে আজ এ ভাবেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দিল্লির সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ৪৯ দিন। তার মধ্যেই প্রথমে অনিল ও পরে মুকেশ দুই অম্বানী ভাইয়ের সঙ্গেই সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ে আম আদমি পার্টির সরকার। এমনকী মুকেশের সংস্থার বিরুদ্ধে গ্যাস-দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্যই তাঁর সরকার পড়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন কেজরীবাল। স্বভাবতই ব্যবসায়ী মহলে প্রশ্ন উঠেছিল কেজরীবাল পুঁজির বিরোধী, না বামপন্থী?
সেই জল্পনায় জল ঢেলেই আজ বণিকসভা সিআইআই-এর জাতীয় পরিষদের বৈঠকে কেজরীবাল বলেন, “আমার দল পুঁজিবাদের বিরোধী নয়। কিন্তু বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি যদি রাজনৈতিক দল ও আমলাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অনৈতিক ভাবে মুনাফা লোটার চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে তার বিরোধিতা করবই (উই আর নট এগেনস্ট ক্যাপিটালিজম। উই আর এগেনস্ট ক্রোনি ক্যাপিটালিজম)।” তবে একই সঙ্গে কেজরীবাল বলেছেন, “ব্যবসায়ীরা কী ভাবে ব্যবসা করবেন, তাতে সরকারের হাত থাকা উচিত নয়। সমস্ত বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বেসরকারি হাতে থাকাই উচিত।”
অনেকের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বণিকমহলে তাঁর বিরুদ্ধে যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছিল, তা মেরামতের চেষ্টাতেই আজ পুঁজির পক্ষে সওয়াল করেছেন আপ প্রধান। সেই সঙ্গে আপ-এ যোগ দেওয়ার জন্য শিল্পপতিদের আহ্বানও জানিয়েছেন। তাঁদের প্রস্তাবিত স্বরাজ বিলে অর্থনীতির প্রসঙ্গ নেই কেন, এক শিল্পপতি এই প্রশ্ন করলে কেজরীবাল বলেছেন, “আমরা রাজনীতি বুঝি। অর্থনীতি সে ভাবে বুঝি না। আপনাদের থেকে শিখতে চাই। আপনারা আমাদের দলে আসুন। দেশ গড়ে তোলার কাজে যোগ দিন।” অর্থনীতি প্রসঙ্গেই কেজরীবাল এ দিন একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে। বলেন, “মনমোহন সিংহ নিজে অর্থনীতিবিদ। তাঁর অধীনে আরও অনেক অর্থনীতিবিদ কাজ করছেন। তা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি বেহাল হয়ে পড়েছে। আমার মতে এর একটাই কারণ দুর্নীতি।”
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দুর্নীতি-অস্ত্রেই বিরোধীদের ঘায়েল করার পরিকল্পনা নিয়েছেন আপ নেতৃত্ব। আজ নিজের বক্তৃতায় শিল্পপতিদের কতকটা আশ্বাসের সুরেই কেজরীবাল জানিয়েছেন, তিনি সৎ ব্যবসায়ীদের পক্ষে। অম্বানী ভাইদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বলেই তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমরা হয়তো ভুল করেছি। আমাদের নীতিতেও হয়তো ভুল ছিল। কিন্তু উদ্দেশ্য অসৎ ছিল না। দুর্নীতি বন্ধ হলেই ব্যবসার খরচ কমবে। ফলে চাকরির সুযোগ বাড়বে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.