যাত্রীবোঝাই বিমান ছিনতাই করলেন সহকারী বিমান চালক নিজেই। রবিবার রাতে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে রোম যাচ্ছিল বোয়িং ৭৬৭-৩০০ বিমানটি। দেশের আকাশসীমায় থাকার সময়ই এক বার শৌচাগারে যান চালক। সেই সুযোগে ভিতর থেকে ককপিটের দরজা বন্ধ করে বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেন সহকারী চালক। তার পর রোমের বদলে সোজা উড়ে যান সুইৎজারল্যান্ডের দিকে।
সোমবার সকালে জেনিভায় নির্বিঘ্নেই অবতরণ করে ইথিওপিয়া বিমান সংস্থার উড়ান ইটি-৭০২। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২ জন যাত্রী ছিলেন বিমানটিতে। ছিলেন কয়েক জন বিমান কর্মীও। তাঁরা সকলেই সুস্থ আছেন। ছিনতাইয়ের খবর কিন্তু টের পাননি যাত্রীরা। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে (এটিসি) প্রথমে যোগাযোগ করেন সহকারী চালকই। জানান, তাঁর জ্বালানি দরকার। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিমান ছিনতাইয়ের সঙ্কেত দেন এটিসিতে।
খবর পেয়ে আগে থেকেই সজাগ ছিলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানটি জেনিভা বিমানবন্দরের মাটি ছোঁয়ার পরই দেখা যায় ককপিটের জানলা খুলে দড়ি বেয়ে রানওয়েতে নেমে পুলিশের দিকে দৌড়ে আসছেন এক ব্যক্তি। নিজেকে সহকারী চালক বলে পরিচয় দিয়ে তিনি জানান, ইথিওপিয়ায় তাঁর বিপদের সম্ভাবনা ছিল। সুইৎজারল্যান্ডের কাছে আশ্রয় চাইতেই তাই যাত্রী-বোঝাই বিমান নিয়ে চলে এসেছেন জেনিভায়।
বছর তিরিশের ওই চালকের পরিচয় এখনও জানায়নি পুলিশ। তাঁর কাছে থেকে মেলেনি অস্ত্রও। কে বা কারা কীসের জন্য এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে তা নিয়ে ইথিওপিয়ার প্রশাসন কিছুই জানে না বলে মন্তব্য করেছে। শেষ যে বার ইথিওপিয়া বিমান সংস্থার বিমান ছিনতাই হয়েছিল সেটা ১৯৯৬ সাল। জ্বালানির অভাবে ভারত মহাসাগরের উপর বিমানটি ভেঙে পড়লে মৃত্যু হয় ১২৫ জন যাত্রীর। |