চিকিৎসকদের জন্য ফের নতুন নিয়ম চালু করছে অসম। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পাঁচ বছরের ব্যবধানে চিকিৎসকদের দক্ষতার বিকাশ ও চিকিৎসা-নীতি (মেডিক্যাল এথিক্স) পালনের খুঁটিনাটি বিচার করে তাঁদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হবে।
এর আগে, দু’দফায় ‘অসম মেডিক্যাল কাউন্সিল’ আইনে সংশোধনী আনা হয়েছিল। প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এমবিবিএস পড়ার পর ‘ইন্টার্নসিপ’ শেষ করে এক বছর গ্রামে চিকিৎসা করলে, স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ার অনুমতি মিলবে। না-হলে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। তারপরে বলা হয়, স্নাতকোত্তর পরীক্ষার পর কমপক্ষে ১০ বছর গ্রামীণ হাসপাতালে কাজ করতে হবে চিকিৎসকদের। তবেই শংসাপত্র, রেজিস্ট্রেশন নম্বর মিলবে। তাতে সম্মত না-হলে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনার জন্য সরকারি খরচ ও জরিমানা বাবদ ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। টাকা না-দিলে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ চিকিৎসক শংসাপত্র তো পাবেনই না, তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করবে সরকার।
এ বার তৃতীয় নিয়মের ‘ফাঁস’ চাপছে রাজ্যের চিকিৎসকদের উপরে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিধানসভায় জানান, চিকিৎসকেরা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাঁরা দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টাও করছেন না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য চিকিৎসকদের কাজের মূল্যায়ন প্রয়োজন। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই ‘অসম মেডিক্যাল কাউন্সিল’ আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে।
বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর, অসম রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নথিভুক্ত চিকিৎসকদের পাঁচ বছর অন্তর তাঁদের শিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রমাণ দিয়ে লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে হবে। একই সঙ্গে লক্ষ্য রাখা হবে, ওই সময়ের মধ্যে তিনি পেশাগত নীতির বাইরে কোনও কাজ করেছেন কি না। মন্ত্রী জানান, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল একটি ‘নীতি কমিটি’ গঠন করবে। ওই কমিটি কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নীতিভঙ্গের অভিযোগের বিচার করে, তাঁর লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িক সময়ের জন্য প্রত্যাহার করতে পারবে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল, চিকিৎসকদের ‘শিক্ষাগত ক্রেডিট পয়েন্ট’ দেবে। বর্তমানে চিকিৎসকদের একবারই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম লেখাতে হয়। হিমন্তর মতে, সময় এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের রোজগারও বাড়ে। তাই, প্রথম বার নাম লেখানোর সময় যে মূল্য দিতে হয়, পুনর্নবীকরণের সময় সে অঙ্ক দ্বিগুন করা হতে পারে। |