শিক্ষা দফতরের ভূমিকায় ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বাংলা মাধ্যমের স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়াদের ভর্তি সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। এখনও অন্তত চারশোর বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি না হতে পারায় অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে স্কুলগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও হিন্দি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে ভর্তির সমস্যা মেটাতে স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অথচ বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলির ভর্তির সমস্যা মেটাতে এখনও পর্যন্ত কেন স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিভাবকদের অনেকেরই অভিযোগ, স্কুল শিক্ষা পরিদর্শক-এর দফতরের একাংশ বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। স্কুল পরির্শক সঞ্জীব কুমার ঘোষ বলেন, “বাংলা মাধ্যমের বিভিন্ন স্কুলে প্রচুর আসন ফাঁকা রয়েছে। তবে কিছু অভিভাবক পছন্দের স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছেন। তাদের কে যে সমস্ত স্কুলে আসন ফাঁকা রয়েছে সেখানে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।”
দফতরের একাংশ মনে করছেন বিভিন্ন স্কুলে জায়গা থাকা সত্ত্বেও অনেকে নামী স্কুলে ভর্তির জন্য চাপ দিতে চাইছে। তা নিয়ে বাইরে দুর্নীতির আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য স্কুল পরিদর্শকের দফতর পরিস্থিতির উপর টানা নজর রাখলেও সরাসরি তাতে হস্তক্ষেপ করছে না। অপর অংশ মনে করছেন, স্কুল পরিদর্শকের দফতর হস্তক্ষেপ করে নিজেদের মতো ঠিক করে দিলেই সমস্যা মিটবে। দুর্নীতিও হবে না। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলে ভর্তি নিয়ে সমস্যায় গত দুই বছর স্কুল পরিদর্শকের দফতরে অনেকেই আবেদন করেছিলেন। সেই মতো কাকে কোন স্কুলে ভর্তি করানো হবে তারাই ঠিক করে দেওয়ায় সমস্যা মিটে গিয়েছিল। এ বছর কেন ওই ব্যবস্থা এখনও করা হল না তা বোঝা যাচ্ছে না। এতে অনেকে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে বাড়ির কাছে স্কুলে ভর্তি করাতে না পারায় অভিভাবকদের সমস্যা বেড়েছে। যিনি হাকিমপাড়ায় থাকেন তিনি বরদাকান্ত বিদ্যপীঠে বা দূরের কোনও স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে চাইছেন না। তা ছাড়া শিলিগুড়ির সংযোজিত এলাকায় জুনিয়র হাই স্কুলগুলিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ থাকায় সেখানে অনেকেই ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে চান না। কেন তা তার পর কোন স্কুলে পড়বে তা নিয়ে পরে সমস্যা হয়। অভিভাবকদের ওই সব যুক্তি যে একেবারেই অমূলক তাও নয় বলে স্কুল পরির্শকের দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের একাংশের ধারণা। স্কুল পরিদর্শকের দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত বছর স্কুলে ভর্তি নিয়ে যাদের সমস্যা ছিল তাদের জন্য জানুয়ারি মাস থেকে আবেদন নেওয়া হয়েছিল। ৫০০ আবেদন পড়েছিল। স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে বিভিন্ন স্কুলে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চম শ্রেণিতে ৪ হাজারের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হওয়ার কথা। শিলিগুড়ি শহরে ২০টির মতো হাই স্কুল রয়েছে। শিলিগুড়ি পুর এলাকায় সংযোজিত ওয়ার্ডগুলিতে জুনিয়র হাই স্কুল রয়েছে। তবে জুনিয়র স্কুলে অনেকেই ভর্তি করাতে চাইছেন না। |