শহরে মশার উপদ্রব প্রতিদিন বাড়ছে। মুলত ঘন বসতিপূর্ণ অঞ্চল ও সঙ্কীর্ণ গলিতে বিকেলের পর ঝাঁক ঝাঁক মশা দেখা যায়। পুরসভা কী করছে?
আব্দুল হালিম বিশ্বাস, ৬ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: সরকার থেকে বছরে দু’বার কীটনাশক দেওয়া হয়। আমরা সেটা ড্রেন ও সঙ্কীর্ণ গলিতে স্প্রে করি। এ ছাড়া শহর পরিষ্কারের দিকে আরও গুরুত্ব বাড়িয়ে এলাকা আবর্জনা মুক্ত করা হচ্ছে যাতে মশা কমানো যায়।
শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য কোনও বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। তাঁদের জন্য উদ্যান তৈরির কোনও উদ্যোগ?
সুজিত মুখোপাধ্যায়, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: আগের বোর্ডের নির্মিত পুরউদ্যানকে শিশুদের জন্য নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছি।
শহরে খেলা ও সংস্কৃতি চর্চা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিষয়টির মোকাবিলায় পুরসভার উদ্যোগ কতটা?
খাদিজা খাতুন, ১ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: আমাদের যতটা ক্ষমতা তার মধ্যে আমরা কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। সেগুলো কিছুটা অগ্রগতি পেলে নাগরিকদের জানানো হবে। |
প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ছিল পুরসভা। কিন্তু বর্তমানে শহরে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার শহরে প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছে। ওই প্লাস্টিক যেখানে সেখানে ফেলায় নিকাশি নালা, ছোট জলাশয় প্রায় বন্ধের মুখে। প্লাস্টিক ব্যবহার রুখতে কি করছে পুরসভা?
হারাধন গনাই, ১০ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: ২০১২ সালের ১৫ অগস্ট শহরে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এই ব্যাপারে নজরদারি কিছুটা কমায় এই অভিযোগ উঠছে। আমরা সচেতনতা বাড়িয়ে কড়া নজরদারির মাধ্যমে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করব।
শহরে প্রচুর ব্যবসায়ী বাইরে থেকে আসেন। কিন্তু রাস্তায় শৌচালয় না থাকায় সমস্যার অন্ত থাকে না। মহিলা সব্জি বিক্রেতাদের সমস্যা সব থেকে বেশি। বহিরাগতদের জন্য শহরে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা হলে ভাল হয়।
আফাজুদ্দিন শেখ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: জায়গার সমস্যা থাকায় শৌচালয় তৈরি করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে পুরসভা অনেকগুলি গেস্ট হাউস তৈরি করেছে। সেখানে বহিরাগতরা স্বচ্ছন্দে থাকতে পারবে।
শহর থেকে ৩ কিমি দূরে ইলেকট্রিক অফিস। শহরে একটা বিল দেওয়ার ছোট সাব অফিস করা যায় না?
রাধামাধব ঘোষ, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: কথা চলছে। ওই দফতরে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল জায়গা দেখে গিয়েছেন। শীঘ্রই পুরভবনের কাছে একটি বিল সংগ্রহের অফিস হয়ে যাবে।
প্রতিনিয়ত রাস্তায় মোটরবাইকের দাপাদাপি। এর ফলে রাস্তায় চলাচলের সমস্যা বাড়ছে। পুরপ্রশাসন ও পুলিশ এই বিষয়ে কী ভাবছে?
সজল চৌধুরী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: আমি রাস্তায় এই নিয়ে দুর্ঘটনাও দেখেছি। বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছি। মানুষ সচেতন না হলে ও পুলিশি নজরদারি না বাড়লে সমস্যা মিটবে না। |
ভবন নির্মাণ-সহ যে কোনও নির্মাণে বাস্তুকারদের দেওয়া নকশা কেউ ঠিকভাবে মানে না। ফলে অনেক সময় পাশের রাস্তার জমি দখল হয়ে যায়। এ নিয়ে কী বলবেন?
হকসেদ আলি, ৯ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: বে-আইনি নির্মাণ নিয়ে কিছু অভিযোগ আমরাও পুলিশকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে আরও নজরদারি বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।
শহরে বিশেষত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের প্রচণ্ড সমস্যা। কয়েক বছর আগেও আমাদের ওই এলাকায় দুটো ট্যাপকল ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দশ হয়েছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে জনসংখ্যাও। তাই জল কষ্ট, কমার বদলে উল্টে বেড়ে গিয়েছে।
নরেন্দ্রকুমার ছাজের, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: জলপ্রকল্প ঢেলে সাজাতে একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ শুরুর মুখে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জলাধার তৈরি করা হবে।
শহরের বাজারে মাংস ও মাছ কিনতে গিয়ে বেশি টাকা দিয়েও সঠিক মানের জিনিস পাওয়া যায় না। গুণাগুণ দেখার জন্য যদি কোনও নজরদারি কমিটি থাকে তবে সুবিধা হয়।
সাগিনা বিবি, ১ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: আগামী বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। জিনিসের মান ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যানজট ও অন্যান্য সমস্যা মেটাতে বিরোধী দল কি করেছে?
বিকাশ মণ্ডল, ৭ নম্বর ওয়ার্ড
বিরোধী দল নেত্রী: আমরা প্রতি বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে পুরপ্রধানকে জানতে চেয়েছি। সমস্যা মেটাতে অনুরোধ করেছি।
পুরপ্রধান: খুব তাড়াতাড়ি শহরে রেল লাইনের নিচে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। ফলে আশা করি যানজটের সমস্যা মিটবে।
শহরের বাসিন্দারা অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এক্ষেত্রে কি ভূমিকা প্রশাসনের?
তাপস মণ্ডল, ৫ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: জানি এটা একটা সমস্যা। আমরা পুলিশকে বলেছি এই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে। নজরদারি বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।
সম্প্রতি নিষিদ্ধ থার্মোকলের প্লেট ও চায়ের কাপের ব্যবহার অনেক জায়গাতেই চোখে পড়ছে। আমি এক চর্ম বিশেষজ্ঞের কাছে জেনেছি এগুলি বিভিন্ন চর্ম রোগের কারণ। শহরে থার্মোকলের ব্যবহার রুখতে পুরসভার ভুমিকা কি?
আমিনুল হক, ৬ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: মাইকিং ও পোস্টারের মাধ্যমে মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করা হবে। |