|
|
|
|
শুমাখার কাণ্ডে খলনায়ক হয়তো ক্যামেরা
নিজস্ব প্রতিবেদন |
হেলমেটে বসানো যে ক্যামেরার সাহায্যে মিশায়েল শুমাখারের দুর্ঘটনার রহস্যভেদের আশায় ছিলেন তদন্তকারীরা, সেই ক্যামেরাই এখন ফর্মুলা ওয়ান কিংবদন্তিকে কোমায় পাঠানোর প্রধান খলনায়ক হয়ে উঠতে পারে!
দুর্ঘটনায় শুমাখারের হেলমেটটি ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল। মাথার খুলি ফেটে মস্তিষ্কে গভীর ক্ষত তৈরি হয় যার ফলে। এত দিন তদন্তকারীদের যে রহস্যটা সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছিল, সেটা হল শুমাখার যে গতিতে স্কি করছিলেন তাতে পড়ে গিয়ে পাথরে মাথা ঠুকলেও সেই ধাক্কার অভিঘাত এত মারাত্মক হওয়ার কথা নয় যে, স্কি-হেলমেট দু’খণ্ড করে দেবে। কিন্তু গবেষণাগারে বিষয়টি নিয়ে নানা ভাবে নাড়াচাড়া করার পরে তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, ক্যামেরা বসানো ছিল বলেই ধাক্কার সময় হেলমেটে ও ভাবে ‘বিস্ফোরণ’ হয়।
সোমবার তদন্তকারী দলের প্রধান প্যাট্রিক কুইন্সির তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার কথা। তার আগে ফ্রান্সের বিশ্ববিখ্যাত স্কি এবং পর্বতারোহণ কেন্দ্র এনসা-র বিশেষজ্ঞরা দুর্ঘটনার পিছনে সম্ভাব্য এই নতুন তত্ত্বটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন। একটি সূত্রের কথায়, “অভিঘাতের সময় হেলমেট আর পাথরের মধ্যে অন্য কোনও কঠিন পদার্থ থাকলে হেলমেট দুর্বল হয়ে যেতে পারে কি না, সেটা আমরা খতিয়ে দেখেছি। হেলমেট ফেটে গেলেও সেটি নির্মাণে ব্যবহৃত পদার্থে কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি। তাই ক্যামেরার ভূমিকাটা নিয়ে ভাবা হয়।” ছেলে মিক-এর স্কি করার ছবি তুলবেন বলেই হেলমেটে ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন শুমাখার। কিন্তু দুর্ঘটনায় হেলমেট চুরমার হলেও ক্যামেরা অক্ষত থেকে যায়। এখন সোমবারের রিপোর্টে কী লেখা হয়, সেটাই দেখার।
অন্য দিকে, শুমাখারের ফুসফুসের সংক্রমণের খবর ছেপে গত সপ্তাহে চাঞ্চল্য ফেলেছিল যে জার্মান কাগজ, সেই বিল্ড-ই আবার জানিয়েছে শুমাখারের সংক্রমণ পুরোপুরি সেরে গিয়েছে। একই সঙ্গে শুমাখারের পরিবারের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তাঁর চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “আমরা বিশ্বাস করি, মিশায়েল সেরে উঠবে।” তবে চিকিৎসার খুঁটিনাটি তাঁরা সংবাদমাধ্যমকে জানাতে এখনও আগ্রহী নন। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “মিশায়েল এখন কোমা থেকে জেগে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি ব্যাপারটা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু এখানে কত দিন সময় লাগল সেটা বড় নয়, আসল হল ওর সুস্থ হয়ে ওঠা। চিকিৎসা যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে আমরা খুশি। কিন্তু বুঝতে হবে, কোমা থেকে জেগে ওঠার সময় রোগীর জন্য কখনও দু’টো দিন এক রকম যায় না। মিশায়েলের শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ যে, তাঁরা বুঝতে পারছেন ওর প্রাইভেসি রক্ষার স্বার্থেই আমরা ওর শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসার খুঁটিনাটি বাইরে জানাচ্ছি না।” |
|
|
|
|
|