|
|
|
|
ফুটবল মাঠে গুন্ডামি |
লা লিগার ম্যাচেও বোমা
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দূরত্বে কয়েক হাজার মাইলের তফাত। ফুটবলের মানের তফাতও হয়তো ততটাই! কিন্তু শনিবার কলকাতা আর স্পেনের এল মাদ্রিগল-কে, আইএফএ শিল্ড ফাইনাল আর লা লিগা ম্যাচ-কে এক ব্র্যাকেটে এনে ফেলল দুই শহরের মাঠের মধ্যে ছুটে আসা দু’টো বোমা।
পার্থক্যের মধ্যে যুবভারতীতে তখন মহমেডান-ধানমন্ডি ম্যাচের প্রথমার্ধ সবেমাত্র শেষ হয়েছে। আর ভিয়ারিয়ালের ঘরের মাঠে সেল্টা ভিগোর বিরুদ্ধে ম্যাচ একেবারে অন্তিম লগ্নে চলছিল। ফলস্বরূপ, শিল্ড ফাইনালে খেলায় বিঘ্ন ঘটেনি। যাবতীয় সমস্যা হাফটাইমের পনেরো মিনিটের মধ্যে সামলে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা যথাসময়ে শুরু হয়। কিন্তু লা লিগার ম্যাচ মাঠের ভিতর ছোড়া স্মোক বোমার জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। দু’দলের ফুটবলাররা কোনও রকমে জার্সিতে চোখ ঢেকে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন। দর্শকেরাও চোখ-মুখ চাপা দিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ম্যাচ ফের শুরু হয় এবং বাকি মিনিট কয়েক খেলিয়ে ম্যাচ শেষ করতে সমর্থ হন রেফারি। |
শনিবারের এল মাদ্রিগল। |
আরও পার্থক্যের মধ্যে শিল্ড ফাইনালে স্থানীয় দল মহমেডান জিতলেও লা লিগায় ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়াল ০-২ গোলে হেরেছে সেল্টা ভিগোর কাছে। দর্শক গ্যালারি থেকে স্মোক বোমা ছোড়ার সময় ভিয়ারিয়াল এক গোলে হারছিল। বোমাটি প্রতিদ্বন্দ্বী দল সেল্টার গোলপোস্টের দিকেই পড়ে ফাটে। শিল্ড ফাইনালে দর্শক গ্যালারি থেকে বোমা ছোড়ার সময় ম্যাচ ১-১ ছিল। মহমেডানের হোম গ্রাউন্ডে দর্শকদের ছোড়া বোমার প্রেক্ষিতে স্থানীয় ক্লাবের কী শাস্তি আইএফএ বা ফেডারেশন বরাদ্দ করবে কে জানে! তবে স্প্যানিশ ফুটবল সংস্থার কঠিন শাস্তির আশঙ্কায় ভিয়ারিয়াল ক্লাব প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই সাফাই গেয়েছেন, “আমাদের মাঠের গ্যালারি থেকে এ রকম স্মোক বোমা ছোড়ার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। ধিক্কার জানাচ্ছি। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া আমাদের এখন লক্ষ্য। এটা যে-ই করে থাকুক, সে এই ক্লাবের অনিষ্টই চায়।” |
|
|
|
|
|