মাঠে তিন মিনিটে আলো জ্বলল মোহনবাগানে ৯০ মিনিটেও নয়

সালগাওকর: ১ (ডুডু)
মোহনবাগান: ০
গোয়ার তিলক ময়দানে সাইডলাইনের ধারে করিম বেঞ্চারিফা দাঁড়িয়ে যাঁর জন্য হাহুতাশ করছিলেন, সেই ওডাফা ওকোলি তখন দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনে নিজের ফ্ল্যাটে দলের অসংখ্য গোল নষ্টের দৃশ্য টিভিতে দেখে হাত কামড়াচ্ছিলেন!
রবিবার বিকেলে এ ভাবেই মিলে গেল গোয়া এবং কলকাতায় বাগানের হতাশা। চলতি আই লিগে সবুজ-মেরুনের দ্বিতীয় অ্যাওয়ে ম্যাচ হারের দিনে। ম্যাচের পর ফোনে করিমের আরেক দফা হতাশ গলা, “গোলের সুযোগ পেয়েছিলাম। মিস করেছি। কী আর বলব!” কলকাতায় শপিং মল লাগোয়া নিজের বাড়ি থেকে ফোনে ওডাফার গলাতেও চেনা আক্ষেপ, “যা দেখলাম, গোল মিস না হলে আজ আমরাই তিন পয়েন্ট পেতাম।” যা প্রায় রোজ শুনে শুনে কোটি কোটি মোহনবাগান সমর্থকের বিরক্তি আরও বাড়লে অবাক হওয়ার নেই।
অভিজ্ঞ দুই কোচের ট্যাকটিক্যাল লড়াইয়ে ম্যাচ কখনও-ই সে ভাবে উপভোগ্য হয়নি। বিরতির আগে পর্যন্ত ডেরেক পেরেরা এবং করিম নিজেদের অঙ্কের হিসেবগুলো মিলিয়ে গেলেন নিখুঁত প্ল্যানিং-এ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মরক্কান কোচের হিসেব এলোমেলো করে দিলেন ডুডু। বিপক্ষের যে অস্ত্রকে ভোঁতা করার ভাবনা ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই শুরু করে দিয়েছিলেন করিম। ভাবনা-চিন্তাই সার। সে-ই ডুডু-র একমাত্র গোলেই গোয়া থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। সালগাওকর এগিয়ে যাওয়ার পরেও ক্রিস্টোফাররা অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গোলের সুযোগ নষ্টের ছোটখাটো প্রদর্শনী করে ফেলেন বাগান ফুটবলাররা।

আবার হার করিম বেঞ্চারিফার
আই লিগ ডার্বির এক ম্যাচ আগে করণজিৎ-ড্যারেল ডাফিদের কাছে টুর্নামেন্টের এই হারটা কিন্তু মোহনবাগানের কাছে যেমন বড় ধাক্কা, উল্টো দিকে জিতে সালগাওকর আই লিগে ভাল জায়গায় (৫-এ) চলে গেল। কোচ জেরেক ফোনে বললেন, “মোহনবাগান ম্যাচ জিততে না পারলে চাপ বাড়ত আমাদের। সেটা ফুটবলাররাও জানত। এই তিন পয়েন্ট আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
ম্যাচের শেষের দিকে হঠাৎ-ই গোয়ার স্টেডিয়ামের আলোকস্তম্ভের সব আলো নিভে যায়। তিন মিনিট পরেই অবশ্য আলো জ্বলতে ফের খেলা চালু হয়ে যায়। কিন্তু বাগানে আলো জ্বলতে যে কত সময় লাগবে কে জানে? স্টেডিয়ামের আলো নিভে যাওয়াটা যেন গোয়ার মাটিতেও হারের পর মোহনবাগানের নিকষ অন্ধকারের প্রতীকী। এ দিকে, তিলক ময়দান স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের দাবি, হঠাৎ ‘পাওয়ার কাট’ হওয়ায় এই বিপত্তি। যদিও ম্যাচ চলাকালীন মাঠের আলো নিভে যাওয়ার পেছনে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বাগানের সদস্য-সমর্থকরা। করিমও বললেন, “আলো নিভে যাওয়ায় আমাদেরই ক্ষতি হয়েছে। সেই সময় ছন্দে ছিল টিম। সেই ছন্দটা নষ্ট হয়ে যায়।” খেলা সাময়িক বন্ধ থাকার সময় কাতসুমি, রাম, প্রীতমদের নানা ভাবে তাতাচ্ছিলেন মরিয়া করিম। কিন্তু বাগান কোচের ‘লাস্ট মিনিট সাজেশনে’ও কোনও কাজ হয়নি।
এর পর মোহনবাগানের হোম ম্যাচ চার্চিলের বিরুদ্ধে। ফেড কাপ সেমিফাইনালে হারের শোধ ঘরের মাঠে তোলার সুযোগ কাতসুমিদের। তার পরেই ডার্বি। এই দু’টো ম্যাচে খারাপ ফল হলে কিন্তু সমস্যা বাড়বে সবুজ-মেরুনের। এই মুহূর্তে ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্টে করিম বাহিনী আই লিগে সাত নম্বরে। তাই চার্চিল এবং ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ মোহনবাগানের কাছে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।

মোহনবাগান: শিল্টন, আইবর, ইচে, কিংশুক (রোউইলসন), প্রীতম, ডেনসন, জাকির, সাবিথ (বিক্রমজিৎ), পঙ্কজ (রাম), কাতসুমি, ক্রিস্টোফার।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.