আবার হার করিম বেঞ্চারিফার |
আই লিগ ডার্বির এক ম্যাচ আগে করণজিৎ-ড্যারেল ডাফিদের কাছে টুর্নামেন্টের এই হারটা কিন্তু মোহনবাগানের কাছে যেমন বড় ধাক্কা, উল্টো দিকে জিতে সালগাওকর আই লিগে ভাল জায়গায় (৫-এ) চলে গেল। কোচ জেরেক ফোনে বললেন, “মোহনবাগান ম্যাচ জিততে না পারলে চাপ বাড়ত আমাদের। সেটা ফুটবলাররাও জানত। এই তিন পয়েন্ট আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
ম্যাচের শেষের দিকে হঠাৎ-ই গোয়ার স্টেডিয়ামের আলোকস্তম্ভের সব আলো নিভে যায়। তিন মিনিট পরেই অবশ্য আলো জ্বলতে ফের খেলা চালু হয়ে যায়। কিন্তু বাগানে আলো জ্বলতে যে কত সময় লাগবে কে জানে? স্টেডিয়ামের আলো নিভে যাওয়াটা যেন গোয়ার মাটিতেও হারের পর মোহনবাগানের নিকষ অন্ধকারের প্রতীকী। এ দিকে, তিলক ময়দান স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের দাবি, হঠাৎ ‘পাওয়ার কাট’ হওয়ায় এই বিপত্তি। যদিও ম্যাচ চলাকালীন মাঠের আলো নিভে যাওয়ার পেছনে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বাগানের সদস্য-সমর্থকরা। করিমও বললেন, “আলো নিভে যাওয়ায় আমাদেরই ক্ষতি হয়েছে। সেই সময় ছন্দে ছিল টিম। সেই ছন্দটা নষ্ট হয়ে যায়।” খেলা সাময়িক বন্ধ থাকার সময় কাতসুমি, রাম, প্রীতমদের নানা ভাবে তাতাচ্ছিলেন মরিয়া করিম। কিন্তু বাগান কোচের ‘লাস্ট মিনিট সাজেশনে’ও কোনও কাজ হয়নি।
এর পর মোহনবাগানের হোম ম্যাচ চার্চিলের বিরুদ্ধে। ফেড কাপ সেমিফাইনালে হারের শোধ ঘরের মাঠে তোলার সুযোগ কাতসুমিদের। তার পরেই ডার্বি। এই দু’টো ম্যাচে খারাপ ফল হলে কিন্তু সমস্যা বাড়বে সবুজ-মেরুনের। এই মুহূর্তে ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্টে করিম বাহিনী আই লিগে সাত নম্বরে। তাই চার্চিল এবং ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ মোহনবাগানের কাছে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
মোহনবাগান: শিল্টন, আইবর, ইচে, কিংশুক (রোউইলসন), প্রীতম, ডেনসন, জাকির, সাবিথ (বিক্রমজিৎ), পঙ্কজ (রাম), কাতসুমি, ক্রিস্টোফার। |