মগরায় যুব কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ রহমানকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শনিবার তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত গিরিধারী যাদব, মুকেশ যাদব এবং বিনোদ যাদব তিন ভাই। তাঁরা এলাকায় তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
তদন্তকারীরা জানান, ছোট খেঁজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই তিন জনকে বাড়ি থেকেই ধরা হয়। তিন জনের নামই এফআইআর-এ রয়েছে। রবিবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের আট দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার সেলুনে চুল কাটা নিয়ে বচসা এবং তার জেরে গণপ্রহারে ছোট খেঁজুরিয়ার বাসিন্দা অভিজিতের মৃত্যু হয়। প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। চুঁচুড়া-মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের দেবব্রত বিশ্বাস-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের দাদা ইন্দ্রজিৎ রহমান। বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন হুগলি জেলা কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব তপন দাশগুপ্ত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘নোংরা রাজনীতি’ করার অভিযোগ এনে বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। তবে কংগ্রেস আন্দোলনের নামে মিথ্যাচার করছে। ওদের ঘৃণ্য রাজনীতি তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে পারবে না।”
মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অভিজিৎ হত্যার প্রতিবাদে ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘হুগলি চলো’ অভিযান স্থগিত করেছে কংগ্রেস। পরিবর্তে ওই দিন বেলা দু’টোয় চুঁচুড়ার খাদিনা মোড় থেকে ঘড়ির মোড় পর্যন্ত তাঁরা মৌনী মিছিল করবেন বলে এ দিন ঘোষণা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই মিছিলে দলের নেতা, বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিদের অংশ নেওয়ার আবেদনও জানান। রবিবার বিধান ভবনে অধীরবাবু অভিযোগ করেন, “অভিজিতের খুনের প্রতিবাদে সভা করতে পুলিশ আমাদের বাধা দিচ্ছে।” জেলা পুলিশের এক কর্তা অবশ্য দাবি করেন, সভার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি। |