|
|
|
|
ব্রিটেনে ঘুষ কেলেঙ্কারি, ধৃত ভারতীয় ব্যবসায়ী |
সংবাদ সংস্থা • লন্ডন
১৬ ফেব্রুয়ারি |
প্রতিরক্ষা উপকরণ নির্মাণ সংস্থা রোলস রয়েসের একটি কেলেঙ্কারির তদন্তে গ্রেফতার হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী সুধীর চৌধুরি ও তাঁর ছেলে ভানু। চৌধুরি পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেনের শাসক জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তা-ই অস্বস্তিতে পড়েছে তারাও।
বুধবার সুধীর ও ভানু চৌধুরিকে গ্রেফতার করে ব্রিটেনের সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস। কয়েক ঘণ্টা জেরার পরে জামিন পান তাঁরা। ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসের অভিযোগ, চিন ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে ঘুষ দিয়েছে রোলস রয়েস। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন সুধীর।
২০০৬ সাল থেকে লন্ডনের অভিজাত চেলসি এলাকায় পাকাপাকি ভাবে থাকেন চৌধুরিরা। দিল্লিতেও একটি বাড়ি ও একটি খামারবাড়ি আছে তাঁদের। আগেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে সুধীরের নাম। তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর করেছিল সিবিআই। পরে প্রমাণের অভাবে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ঘুষের অভিযোগে ফিনমেকানিকা সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ডের কাছ থেকে কপ্টার কেনার চুক্তি বাতিল করেছে ভারত। সেই কেলেঙ্কারিতে ইতালিতে বিচার চলছে ফিনমেকানিকার প্রাক্তন প্রধান জিউসেপ্পে ওরসির। ইতালীয় আদালতে সরকারপক্ষের পেশ করা নথিতেও ফিনমেকানিকার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সুধীরের নাম উঠে এসেছে। তবে সুধীর বরাবরই দাবি করে এসেছেন, তিনি অস্ত্র ব্যবসায়ী নন।
২০১০ সাল থেকে লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলকে বিপুল অর্থ সাহায্য করেন সুধীর। এক সময়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সম্ভাব্য সদস্য হিসেবেও তাঁর নাম শোনা গিয়েছিল। চৌধুরিদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনুষ্ঠান সরকারি ভবন ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে করার ব্যবস্থা করেছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ ও তাঁর স্ত্রী মিরিয়াম। ফলে, সুধীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে অস্বস্তিতে নিকের দলও।
দলের পক্ষে জানানো হয়েছে, ২০১০ সালে ভোটের আগে অর্থ সাহায্য নেওয়ার আগে সুধীরের সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিল তারা। তখন কোনও অভিযোগের কথা জানা যায়নি। বুধবার সুধীর ও ভানুর গ্রেফতারির কথা দলের নেতারা সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন। |
|
|
|
|
|