দুর্নীতি প্রশ্নে দ্বিমুখী কৌশল বিজেপি-র
দিল্লির কুর্সি ছেড়ে লোকসভায় দুর্নীতিকে পুঁজি করেই কংগ্রেস ও বিজেপিকে বিঁধতে শুরু করেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তার পর থেকেই রাহুল গাঁধীরা বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে বিজেপির দুর্নীতি নিয়ে যেমন সরব হচ্ছেন, তেমনই বিজেপিও দুর্নীতির প্রশ্নে সুর চড়া করছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
বিজেপি-র এক নেতার মতে, তাঁদের দ্বিমুখী কৌশল নিতে হবে। এক দিকে দেখতে হবে যাতে দুর্নীতি নিয়ে প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর সুশাসন প্রসঙ্গ ঢাকা না পড়ে যায়। আবার এটাও বোঝাতে হবে যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি-ই দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে।
এই কৌশল মেনেই এখন আসরে নেমেছে বিজেপি। সকালেই আডবাণী ব্লগ লিখে ইউপিএ জমানায় ওঠা দুর্নীতির তালিকা দেন। বলেন, “স্বাধীন ভারতে মনমোহন সিংহ সরকারের আমলেই সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে।” অরুণ জেটলিও এক নিবন্ধ লিখে রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “রাহুল গাঁধী প্রচারে বলছেন, বিজেপি সংসদে দুর্নীতি-বিরোধী বিলগুলি আটকে রেখেছে। সেটি আদৌ সত্য নয়। বিজেপি এই সিংহভাগ বিলই সমর্থনে রাজি। কিন্তু রাহুল গাঁধীর দলই সংসদ অচল করে রেখেছে।” আবার মোদী হিমাচলে প্রচারে গিয়ে বলেছেন, “আমার দুর্নীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। আমার আগেও কেউ নেই, পিছনেও কেউ নেই।” দুর্নীতি-মুক্ত উন্নয়নই যে তাঁর লক্ষ্য তা বোঝাতে চেয়েছেন মোদী।
কেজরীবালের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা যায় না তা জানেন বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারা। একই ভাবে মোদীর বিরুদ্ধেও যে ব্যক্তিগত দুর্নীতির অভিযোগ তোলা কঠিন তা জানেন আপ নেতৃত্ব। তাই মোদীর বিরুদ্ধে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে এখনও গুজরাত মন্ত্রিসভায় রাখার অভিযোগ তুলেছেন আপ নেতৃত্ব। আর মুকেশ অম্বানীর বিষয়টি নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস, দু’দলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন কেজরীবাল। মুকেশ সম্পর্কে রাহুল ও মোদীর মত চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন তিনি। আজ মোদীর সভার পরে আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ বলেন, “মোদী বলছেন, দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর আগে-পিছে কেউ নেই। আমরা বলছি, মোদীর আগে অম্বানী, পিছনে আদানি রয়েছেন।” দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদের এই রাজনীতিতে কে সফল হন তা-ই দেখার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.