নজরুল মঞ্চের কাঠামো ও নকশা বদল করে তা নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ শেষ পর্যায়ে। এ বার ওই মঞ্চ-সংলগ্ন রবীন্দ্র সরোবর এবং বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরের সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ঢেলে সাজা হচ্ছে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামও। খরচ হবে আরও ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
নব কলেবরে শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত নজরুল মঞ্চের উদ্বোধন হওয়ার কথা মার্চ মাসে। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা। ১৯২ একর জমির উপর তৈরি রবীন্দ্র সরোবরের মধ্যে ৭৩ একর অংশে জল। ঠিক হয়েছে, এ বার সরোবরের সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হবে গোলপার্কের দিক থেকে। সরোবর-সংলগ্ন হাঁটাপথ বাঁধানো হবে রঙিন টালি দিয়ে। দু’পাশে থাকবে হাঁটু সমান উঁচু বাহারি বাতিস্তম্ভ। শিল্পকর্মের নিদর্শন থাকবে কিছু প্রাচীরে। সরোবরের চারটি প্রবেশপথে থাকবে তোরণ। নবাব সিরাজদৌল্লার বাহিনীর ব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত দু’টি কামান আছে রবীন্দ্র সরোবরের দক্ষিণাঞ্চলে। আছে ঝুলন্ত সেতু এবং ১৯২৬ সালে তৈরি একটি মসজিদও। আগ্রহীদের কথা মাথায় রেখে এগুলোর পাশেও ফলক লাগানোর কথা বিবেচনা করছে কেআইটি। প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এর জন্য।
১৯৫৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের আগ্রহে কেআইটি তৈরি করে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়াম। এটি সাজানোর জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্যের ক্রীড়া দফতর। দফতরের এক অফিসার জানান, প্রথমে মাঠের পরিচর্যা ও উন্নয়ন, ভিতর ও বাইরের নিকাশি ব্যবস্থা এবং স্টেডিয়ামের ছ’টি ব্লকে পুরুষ ও মহিলাদের ১৪টি শৌচাগারের হাল ফেরানো হবে। এ সবে দেড় কোটি টাকা লাগার কথা। দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে গ্যালারির মানোন্নয়ন, মাঠ জলে ভেজানোর স্বয়ংক্রিয় (‘স্প্রিঙ্কলার’) ব্যবস্থা, ভূগর্ভস্থ জলাধার ও আধুনিক আলোর ব্যবস্থা।
এ দিকে, সুভাষ সরোবরে জল রয়েছে ৩৯ একর জুড়ে। সংলগ্ন অংশ অর্থাৎ ডাঙা নিয়ে এর মোট আয়তন ৯৭.৫ একর। এর বেশ কিছুটা অংশে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী জমা করা হয়। রেল প্রকল্পের ওই অংশের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এ বার পুরো জায়গাটিকে সাজাতে চায় রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর। সেখানে তৈরি হবে শিশু উদ্যান, রক গার্ডেন ইত্যাদি। এ সবে খরচ হবে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। |