নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
হাঁসন বিধানসভা এলাকায় ফের কংগ্রেসে ভাঙন ধরাল তৃণমূল। রবিবার তারাপীঠে দলের রামপুরহাট ২ ব্লক আফিসে দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ কংগ্রেসের টিকিটে জিতে আসা পাঁচ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এই দল বদলে দুনিগ্রাম পঞ্চায়েত কার্যত তৃণমূলের দখলে চলে এল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ১৭ সদস্যের দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতে দলগত অবস্থান ছিল কংগ্রেস ৯, তৃণমূল ৪, বামফ্রণ্ট ৩, নির্দল ১।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন কবীর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নানান উন্নয়নমূলক কাজকর্মের মধ্যে এলাকার দীর্ঘদিনের চাহিদা ভাঙলা কাঁদরের উপর সেতু নির্মাণে ১২ কোটি টাকা অনুমোদন করেছেন। এ ছাড়া তাঁর ঘোষিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্মে সামিল হওয়ার জন্য তৃণমূলে যোগ দিলাম।” রবিবার ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে ওই পাঁচ কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য দল পরিবর্তন করেন। এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মাল বলেন, “দলীয় প্রতীকে ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা জয়ী হয়েছিলেন। স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য প্রধানের উপর দলীয় সদস্যদের কোনও চাপ ছিল না। প্রতিনিয়ত তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন খাতে এলাকায় সভা করে কয়েকদিন আগে দশ লক্ষ টাকা ওই পঞ্চায়েতকে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও প্রধান-সহ পাঁচ জন সদস্য কেন দল ছাড়লেন, তার জবাব আমরা চাইব।” কংগ্রেসের দুনিগ্রাম অঞ্চল সভাপতি ফরিদ খাঁ বলেন, “তাঁরা এলাকার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন।” এ দিনই রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড চত্বরে থাকা প্রায় ১০০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বামপন্থী সংগঠন ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। |