কিন্তু সে সব ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে সম্পর্ক নিয়ে নতুন এক গবেষণা এখন শিরোনামে। ইলিনয়ের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মনস্তত্ত্ব বিভাগের এলি ফিঙ্কেল এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনি এমন একটা পেপার লিখছেন যাতে বলা হয়েছে যে পরকীয়া প্রেম হল বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পক্ষে আদর্শ। এলি অবশ্য বলেই দিয়েছেন যে তিনি লুকিয়ে প্রেম করতে কাউকে বলছেন না। কিন্তু যদি কোনও দম্পতি নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নেন যে তাঁরা ‘নন মনোগেমাস’ সম্পর্ক রাখবেন তা হলে তাতে বিয়েতেও কোনও বাধা আসবে না।
যে দিন এই পেপার নিয়ে চর্চা শুরু হয়, সে দিন থেকেই শুরু হয় নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া। কেউ বলেন যে লেখাটা সম্পূর্ণ ভাবেই ভ্রান্ত। টুইটারেও শুরু হয়ে যায় নতুন বিতর্ক। তসলিমা নাসরিন বলেন, “আই থিঙ্ক ইট ইজ (অ্যাডালট্রি) দ্য কি টু দ্য আনহ্যাপি ম্যারেজ অর ডিভোর্স।” তাঁর এই টুইটারের উত্তরে এক জন লেখেন, “দিজ ওয়েস্টার্ন সায়েনটিস্টস ট্রাইং টু কনফিউজ অ্যান্ড স্পয়েল ইস্টার্ন কানট্রি’স কালচার সিন্স দে আর অলরেডি স্পয়েলট।’ তা দেখে তসলিমা আবার লেখেন, ‘দ্য ট্রুথ ইজ ইস্টার্ন মেন আর মোর অ্যাডালট্রাস দ্যান ওয়েস্টার্ন মেন।’ শুরু হয় নতুন বিতর্ক। পাশ্চাত্যের পুরুষদের থেকেও কি এ দেশের পুরুষেরা বেশি বহুগামী? |
মহেশ ভট্ট
হিউম্যান বিইংস হ্যাভ এ সুইট টুথ ফর সেক্স। মানুষ মাত্রেই যৌন সম্পর্ক পছন্দ করে। এটাই সত্যি! কিন্তু এটা অদ্ভুত যদি ভৌগোলিক দিক থেকে এই প্রবণতাকে বিভাজন করে দেখতে শুরু করা হয়। সাহসের বদলে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ চতুর হওয়ার চেষ্টা করে। হয়তো এটা বলা যেতে পারে যে এখনকার মানুষেরা অনেক বেশি চতুর। হয়তো তসলিমা এটাই বলতে চেয়েছেন। আসলে আমাদের কালচারটাই এমন— যেখানে দেখনদারিটা বেশি প্রাধান্য পায়। মন থেকে ভাল হওয়ার আগে বেশি দরকার হল দেখতে ভাল
হওয়া। সমবেত দ্বিচারিতায় ভুগি আমরা সবাই।
|