নাম: দ্য নিউলিওয়েড গেম

চ্যানেল: এবিসি, সিন্ডিকেটেড, জিএসএন

সাল: ১৯৬৬-২০১৩
এই রিয়েলিটি গেম শো দৌড়েছে সাাতচল্লিশ বছর! ঠিক টানা নয় যদিও, মাঝেমধ্যে মাসকয়েক, বছরকয়েক করে বন্ধ থেকেছে। তবু এই প্রায় অর্ধশতক সময়ের বেশির ভাগটাই মার্কিন টেলিভিশনে দাপিয়ে চলেছে এই মেগাহিট শো। এই শোয়ের প্রথম প্রযোজক ছিলেন চাক ব্যারিস। হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, ইনিই সেই বিখ্যাত মার্কিন ভদ্রলোক, অগুনতি গেম শো-র সৃষ্টি ও উপস্থাপনার জন্য যাঁর দুর্ধর্ষ নামডাক। ২০০২ সালে জর্জ ক্লুনি এঁর জীবন নিয়ে সিনেমা বানিয়েছিলেন: ‘কনফেশন্স অব আ ডেঞ্জারাস মাইন্ড’।
এই শো’টির বিষয় হল, ‘শাদি কে সাইড-এফেক্টস’। শো’র নামেই তো মালুম, যত কারবার সব নতুন দম্পতিদের নিয়ে। খেলাটার নিয়ম হল, এই সব দম্পতিদের কয়েক রাউন্ড প্রশ্ন করা হবে। কখনও স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে, কখনও আলাদা আলাদা। তাঁরা যা উত্তর দেবেন, তার থেকে বার করা যাবে, এঁরা একে অপরকে কতটা ভাল বা কতটা খারাপ চেনেন। যাঁরা বেশি পয়েন্ট পাবেন, তাঁরা পাবেন ফাটাফাটি সব প্রাইজ। বেশির ভাগই গেরস্থালির জিনিসপত্র। ১৯৯৭ সালে শো’টা যখন আবার নতুন করে শুরু হল, তখন থেকে বিজয়ী দম্পতির জন্য পুরস্কার থাকত দুর্দান্ত একটা ট্রিপ। ওঁরা সেটাকে বলতেন সেকেন্ড হানিমুন।
আর যাঁরা শোয়ে গো-হারান হারতেন? তাঁদের জন্যই কিন্তু শোয়ের এমন রমরমা। কারণ, তাঁরাও অনেক কিছু পেতেন। যেমন, ঘোর মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝি, কান্নাকাটি, ঝগড়া। শো-তে দেওয়া উত্তর থেকে স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের সম্বন্ধে এমন সব অজানা তথ্য আবিষ্কার করেছেন, তার জেরে বিয়েটাই ভেঙে গেছে এমনও হয়েছে বেশ কয়েক বার।
কয়েকটা প্রশ্ন সাংঘাতিক। তার অনেক ক’টাতেই সরাসরি প্রতিযোগীদের যৌন জীবনের খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস করা হত। ষাট-সত্তর দশকে, উপস্থাপক বব ইউব্যাংকস, একটু রাখঢাক করে, ব্যাপারটিকে বলতেন ‘মেকিং হুপি’। আশি-নব্বই থেকে আর কোনও সেন্সরের ভয়, আড়াল কিছুই রইল না। বেমালুম ক্যামেরার সামনে তিনি ‘মেক লাভ’, ‘হ্যাভ সেক্স’ বলে বসতেন।
খেলার রাউন্ডগুলো মজাদার। প্রথম দানে, স্বামীদের তিনটে প্রশ্ন করে, উত্তর লিখে রাখা হত নীল রঙের একটা কার্ডে। স্ত্রীরা কিন্তু তখন সে চত্বরে থাকতে পারবেন না। স্বামীদের উত্তরপর্ব শেষ হলে, তাঁরা বেরিয়ে আসতেন ও একই প্রশ্নের উত্তর দিতেন। দুজনের যত বেশি উত্তর মিলত, তত বেশি পয়েন্ট পেতেন। পরের দানে আবার স্ত্রীদের আগে প্রশ্ন করে স্বামীদের ডাকা হত। এ ভাবেই এগোত খেলা।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে নিয়মগুলো বদলে ফেলা হল। প্রথম দানে স্বামী বা স্ত্রীকে দেখানো হত একটা ভিডিয়ো টেপ। সেই টেপে সঙ্গী তাঁরই বিষয়ে কিছু বলছেন। রেকর্ডিং যখন শেষ হতে চলেছে, তখনই হঠাৎ টেপ বন্ধ করে দিয়ে স্বামী বা স্ত্রীকে আন্দাজ করতে বলা হত সঙ্গী শেষে ঠিক কী বলেছেন। দ্বিতীয় দানে আসত সেই প্রশ্নোত্তর রাউন্ড। দুজনকে আলাদা আলাদা প্রশ্ন করা চলত। তৃতীয় দানের নিয়ম, স্বামী বা স্ত্রীরা নিজের সম্বন্ধে একেবারে অদ্ভুত-কিম্ভূত একটা তথ্য দেবেন। এ বার উপস্থাপক এক এক করে, সেগুলো সবার সামনে পড়বেন, আর সামনে বসা খেলোয়াড়দের সেই শুনে চিনে নিতে হবে নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে। শেষ রাউন্ডে, হোস্ট একতাড়া জিনিসের নাম এলোপাথাড়ি পড়বেন। যেমন পটেটো চিপ্স, রকেট সায়েন্টিস্ট, কেচাপ, মাস্টার্ড। আর স্ত্রীদের কাছে থাকবে কার্ড, সেই কার্ডে একটা একটা করে ওই সব জিনিসের নাম লেখা আছে, মানে যে জিনিসটা তিনি পছন্দ করেন বা যা তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিল খায়। এ বার স্বামীকে বলতে হবে তাঁর স্ত্রীর কার্ডে ঠিক কোন জিনিসটার নাম লেখা আছে।
কিন্তু, এই নতুন নিয়মকানুন দর্শকরা একেবারেই পছন্দ করল না। অগত্যা, পরের সিজন থেকেই আবার পুরনো প্রশ্নোত্তরের ফর্ম্যাটে ফিরে গেল শো। ডেকে আনা হল পুরনো হোস্ট ইউব্যাংকস’কেও। এ বার পুরনো দিনের মতোই, খেলা হতে লাগল তিনটে দম্পতিকে নিয়ে।
২০০৯-’১০ সিজনে, সমলিঙ্গ দম্পতিরাও এই শোয়ের প্রতিযোগী হয়ে এসেছিলেন। তাতে রেটিং বেড়েছিল অনুষ্ঠানের। ২০১৩-য় টিভি গাইড শো’টিকে সর্বকালের সেরা গেম-শো’গুলোর তালিকায় দশ নম্বরে রেখেছে। ভারতে হয়নি, তবে ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া, ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্সের টিভিতেও খেলা হয়েছে এই গেম। ২০১৩-র ১৪ ফেব্রুয়ারি আমেরিকান টিভিতে শো-র শেষ সিজনের শেষ পর্বটি দেখানো হয়েছিল। হয়তো অচিরেই একটা ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ফিরে আসবে এই অনুষ্ঠান!



সারা দেশে লক্ষ লক্ষ বকেয়া মামলা এক তুড়িতে ফয়সালা হয়ে যাবে কয়েক দিনের মধ্যেই। পাশ হয়ে গেছে অভিনব ও গুরুত্বপূর্ণ বিল, চালু হতে চলেছে ‘টস-সালিশি’। যে কোনও মামলার বাদী আর বিবাদী পক্ষকে ডেকে পাঠিয়ে, এগারো বার টস করা হবে। যে পক্ষ বেশি বার জিতবে, তাকেই জয়ী ঘোষণা করা হবে। কোনও শুনানি নেই, কোনও কাঠগড়া নেই। উকিলদের পাঁয়তারা, টালবাহানা এ সবের দিন শেষ। তবে এই সিদ্ধান্তে উকিল-মোক্তারদের পেটে টান পড়বে না, কারণ তাঁদেরই টস-কারী হিসেবে নিয়োগ করা হবে। আর, তাঁদের পারিশ্রমিকটা জয়ী পক্ষের কাছ থেকে আদায় করা হবে। লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার সময় স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন, ‘এতে তো অসংখ্য অবিচার হবে’ বলে কাগজের ডেলা ছুড়েছেন। সরকার পক্ষ মনে করিয়েছেন ভারতীয় দর্শন ও সংস্কৃতিতে নিয়তির শক্তি ও অনিবার্যতার কথা। এমনকী সবচেয়ে বড় শাস্তি ফাঁসিটাও তো নিয়তির হাতে! এক বার কোনও ভাবে আটকে গেলে আর ফাঁসি দেওয়া যায় না। সবচেয়ে বড় কথা, এখনকার ব্যবস্থায় মাঝে মাঝে বিচারের এত দেরি হয় যে ‘জাস্টিস ডিলেড ইজ জাস্টিস ডিনায়েড’ আপ্তবাক্যটিকে বারবার অপমান করা হয়। এই নতুন ব্যবস্থায় বিচারটা ঝড়ের গতিতে হবে, আর এখানে অন্যায়ের আর ন্যায়ের জেতার সম্ভাবনা ফিফ্টি-ফিফ্টি। বাস্তবের চেয়ে ন্যায়ের সুযোগ বরং কিছুটা বেশিই। পরিকাঠামোগত সুবিধেও আছে। টসাটসির জন্য এক চিলতে জায়গা হলেই যথেষ্ট। মাঠ-ঘাটও চলতে পারে। প্রস্তাব করা হয়েছে, সালিশির মাঠগুলো বিভিন্ন স্পনসরকে দিয়ে দেওয়া হোক, সাজিয়েগুজিয়ে দেওয়ার জন্য। তার থেকে যে টাকা আসবে, তাই দিয়ে দারিদ্র কিছুটা দূর করতে সাহায্য করা হবে। তাতে অন্যায় (ও বিচারের প্রয়োজনও) কিছুটা কমবে। শুধু দেখতে হবে, টসের কয়েন যেন ‘শোলে’-র মতো না হয়!

রিলেশন কেটে বেরনোর
দশটা দুর্ধর্ষ পদ্ধতি



আগের বছর ওর দেওয়া গিফ্ট
এ বছর ওকেই উপহার দিন।

ডাক্তার বন্ধুকে দিয়ে ওকে বলান,
আপনার গোপন অসুখ আছে।

অন্য মেয়ের নাম
হাতে ট্যাটু করিয়ে আনুন।

রোজ রেস্তরাঁয় নিয়ে যান আর বিল দেখে মাথা চাপড়ান।

হবু শ্বশুরকে অ্যানিভার্সারি-তে
‘সচিত্র কামসূত্র’ উপহার দিন।


হবু শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলুন, ‘দিদিমা,
আপনাকে হেব্বি ইয়াং লাগছে তো!’


রোজ ওর রুমাল নিয়ে বেশ
করে নাক ঝেড়ে ফেরত দিন।


প্রেমিকের জন্মদিনে সন্ন্যাসীর
লোটা-কম্বল হাতে ধরান।

সিনেমা দেখতে গিয়ে নিজের জন্য কাটুন
ব্যালকনির টিকিট, বান্ধবীর জন্য একতলার।

১০

চরম ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে খুব মন দিয়ে টেলিফোন ডিরেক্টরি মুখস্থ করুন।

জয় বাংলা

সরিয়ে দিয়ে মনোজ, শামি, লক্ষ্মীরতন শুক্ল
অন্য স্থলের ছোকরাগুলো কেমন করে ঢুকল?
ফ্র্যাঞ্চাইজির দলের শোকে টাক চাপড়ায় বাংলা
জাতের গর্ব বক্ষ ফোলায়, সাইজ: বুড়ো আংলা!

প্রাদেশিকতা বলে, আমার নিজের লোকের প্রতি ভালবাসা সবচেয়ে আগে। আসলে, তার নিজের লোক ছাড়া অন্য সকলের প্রতি ঘৃণা সবচেয়ে আগে।
চার্লস ডি গল

বুঝি না, এক জনের ভালবাসা কেন এক জনই নারী, বা একটাই জাতির প্রতি সীমাবদ্ধ থাকতে হবে!
জন কেনেথ গলব্রেথ

প্রাদেশিকতা একটা মোরগ, যে নিজের বিষ্ঠার ঢিবির ওপর দাঁড়িয়ে কোঁকর-কোঁ করে চেঁচিয়ে ডাকছে।
আর অল্ডিংটন

ভূগোল যদি কারও গোটা আত্মাটাকে নিয়ন্ত্রণ করে, সে মানুষটা নিতান্ত মর্যাদাহীন।
জর্জ সান্টায়ানা

প্রঃ প্রাদেশিকতা ভাল?
গর্গরেফ: ভাল যে নয়, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ, এতে মেজরিটি খুব সহজে উত্তেজিত ও আপ্লুত হয়ে ওঠে। সস্তা আবেগ ছাড়া এত ভাল রেসপন্স পাওয়া যায় না। আসলে, মানুষ সবচেয়ে ভালবাসে অন্যকে ঘৃণা করতে। সেই অন্য-টা কখনও পাকিস্তান, কখনও বাংলা বাদে রেস্ট অব ইন্ডিয়া। এটা বেসিকালি বোকা ও হীনের মনোবৃত্তি।
প্রঃ ভাল দিক নেই? গর্গরেফ: ফ্ল্যাগ-ট্যাগ বেশি বিক্কিরি হয়।



pdfrobi@abp.in



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.