দিল্লিতে ভরসন্ধেয় খুন হলেন তরুণী
ন্ধে বেলা রাজধানীর অতিপরিচিত রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন সিমরানজিৎ কউর। বুঝতেও পারেননি কেউ তাঁর পিছু নিয়েছে। তার পর আচমকাই তাঁর হাতব্যাগ নিয়ে টানাটানি শুরু করে ওই অনুসরণকারী। অন্তঃসত্ত্বা সিমরান বাধা দিলে প্রথমে তাঁর হাতে এবং তার পর বুকে ধারালো ছুরি বসিয়ে দেয় সে। মারা যান সিমরান। শুক্রবার এই নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির করোল বাগ এলাকায়। যার জেরে ফের এক বার প্রশ্নের মুখে রাজধানীর ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পুলিশের দাবি, যে রাস্তায় ঘটনাটি ঘটে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে স্কুটারে করে এক জন চলে যান। তার পর ইউ-টার্ন নিয়ে আবার ফিরে আসেন। এর পরেই দেখা যায়, সিমরানকে অনুসরণ করে যাচ্ছে এক যুবক। কিন্তু যে জায়গায় সে সিমরানকে ছুরিকাঘাত করে, সেই জায়গাটি সিসিটিভি-র ফ্রেমের বাইরে। ফলে, ছুরি চালানোর দৃশ্য ফুটেজে ধরা পড়েনি। তবে তরুণীর চিৎকারে যে স্থানীয় লোকজন ভিড় জমান, তা ধরেছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। উদ্ধার হয়েছে ছুরিটিও। কিন্তু সমস্যা একটাই। আততায়ীর ছবি এতটাই অস্পষ্ট, যে তার চেহারা ঠাওর করা প্রায় অসম্ভব। তবে পুলিশ জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে স্কেচ আঁকিয়ে আততায়ীকে খোঁজার চেষ্টা চলছে।
মূল প্রশ্ন অবশ্য দু’টি। প্রথমত, স্রেফ হাতব্যাগ ছিনতাইয়ে বাধা না কি অন্য কোনও ক্ষোভে এই হত্যা, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। দ্বিতীয়ত, এক না একাধিক ব্যক্তি এর পিছনে রয়েছে, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। বিশেষত, ওই স্কুটার-আরোহীর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তরুণীর স্বামী জানিয়েছেন, নয়ডার একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত ছিলেন সিমরান। দু’বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। শুক্রবার সন্ধে সওয়া ছ’টা নাগাদ করোল বাগে আত্মীয়ের বাড়িতে যাবেন বলে নয়ডা থেকে মেট্রোয় ওঠেন তিনি। সাড়ে সাতটা নাগাদ পৌঁছন করোল বাগ মেট্রো স্টেশনে। সিমরানের স্বামীর ধারণা, সেখান থেকেই তাঁর পিছু নিয়েছিল আততায়ী। তিনি যখন প্রায় আত্মীয়ের বাড়ির কাছে, তাঁর উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত। প্রচণ্ড আক্রোশে প্রথমে হাতে আঘাত করে। তার পর সোজা হৃৎপিণ্ডে ছুরি বসিয়ে দেয়। পুলিশের দাবি, সে আঘাতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।
মহিলাদের উপর আক্রমণ অবশ্য রাজধানীর বুকে নতুন কোনও ঘটনা নয়। নির্ভয়া-কাণ্ড তো বটেই, তার পরেও একাধিক মহিলা-নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। তবে জনতার ক্ষোভ কিংবা সে ক্ষোভকে মূলধন করে দিল্লিতে ক্ষমতার ছবি বদলানো সত্ত্বেও যে রাজধানীতে মহিলাদের নিরাপত্তা আজও সুনিশ্চিত নয়, তা ফের প্রমাণ করে দিল এই ঘটনা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.