স্থানীয়দের মারধর, অভিযুক্ত ১৩ পুলিশ
বাঁশদ্রোণীর সর্দারপাড়ায় কয়েক জন বাসিন্দাকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতের এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বাঁশদ্রোণী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। থানার সামনের রাস্তা কিছু ক্ষণের জন্য অবরোধও হয়। পুলিশ জানায়, থানার কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে মারধরের লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠিতে এক ব্যক্তি জখম হন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
তবে পুলিশের দাবি, ওই তল্লাটে দুষ্কৃতীদের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে পুরনো বিবাদ। শুক্রবার রাতে তাদের গোলমাল থামাতেই পুলিশ যায়। এক পুলিশকর্তার দাবি, “স্থানীয়েরাই প্রথমে গ্রিন পুলিশের এক সদস্যকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। তাঁদের সামলাতে গিয়েই গোলমাল বাড়ে।” পুলিশকে মারধরের অভিযোগে অবশ্য কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি।
স্থানীয় সূত্রের অবশ্য দাবি, পুলিশ আচমকাই ‘নিরীহ’দের উপরে চড়াও হয়। এক বাসিন্দা বাপি সর্দার জানান, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ স্ত্রী বাড়ির বাইরে রাস্তার ধারের বাথরুমে যান বলে তিনিও দরজার বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন পুলিশ হঠাৎ এসে মারধর শুরু করে। বাপির দাবি, পুলিশকে বাধা দিতে গেলে স্ত্রী প্রীতিকেও ধাক্কা মারা হয়। প্রতিবেশী ইমারতি শঙ্কর সর্দার বেরিয়ে এলে তাঁকেও পুলিশ পেটায় বলে অভিযোগ। শঙ্করবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সর্দারপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ তাঁদের কোনও অভিযোগ প্রথমে আমল দেয়নি।
পরে শনিবার শঙ্করবাবুর ভাইপো ভোম্বল সর্দারের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ জন পুলিশকর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের হয়।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ সাবআর্বান) সন্তোষ পাণ্ডে অবশ্য বলছেন, “যেটুকু জানি, পুলিশ কাউকে মারেনি। তবে অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.