|
|
|
|
নতুন সাজে নয়াগ্রাম গ্রামীণ পাঠাগার, উদ্বোধন আজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক বছর আগেও ছবিটা ছিল অন্যরকম। বাইরে থেকে দেখলে মনেই হত না এটা পাঠাগার। সামনে দিয়ে চলে গিয়েছে গ্রামীণ সড়ক। তার পাশে এক চিলতে বাড়ি। দেওয়ালে সাইনবোর্ডও ছিল না। বাড়ির ভেতরের পরিস্থিতি আরও করুণ। ক’য়েক পশলা বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ত। বইপত্র ভিজত। এ ভাবে অনেক বই নষ্টও হয়েছে। তার উপর পাঠাগারের মধ্যেই তৈরি হয়েছিল উইয়ের ঢিবি।
এখন ছবিটা পুরো আলাদা। সংস্কারের পর ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠেছে নয়াগ্রাম মুকুল সংঘ পাঠাগার (গ্রামীণ)। আজ, শনিবার পাঠাগারের নবনির্মিত ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন হবে। এই উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। তারপর মূল অনুষ্ঠান। |
|
|
সংস্কারের আগে নয়াগ্রাম মুকুল
সঙ্ঘ গ্রামীণ পাঠাগারে উইপোকার ঢিবি। |
পাঠাগারের
নবনির্মিত বাড়ি। |
|
দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ পানের। বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন, আলোচনা সভা, মহিলা প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, গুণিজন সংবর্ধনা ছাড়াও থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাঠাগারের সম্পাদক টোটন কর বলেন, “রাজ্য সরকার অর্থ সাহায্য না করলে পাঠাগারের হাল ফেরানো সম্ভব হত না। গত বছর মার্চে কাজ শুরু হয়েছিল। এক বছরের আগেই কাজ শেষ হয়েছে।” পাঠাগারের জন্য প্রায় ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল সরকার।
মেদিনীপুর শহর থেকে কিছু দূরে নয়াগ্রাম। গ্রামবাসীর উদ্যোগে ১৯৬১ সালে এখানে গ্রামীণ পাঠাগার গড়ে ওঠে। গোড়ায় পাঠাগার ঘিরে গ্রামের মানুষের উৎসাহের শেষ ছিল না। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারাও এই পাঠাগারে আসতেন। বই পড়তেন। ক্রমে সংস্কারের অভাবে ধুঁকতে শুরু করে পাঠাগার। সব মিলিয়ে তিনটি ঘরে কয়েকটি আলমারি থাকলেও অনেক বইপত্র টেবিলে রাখতে হত। এক সময় পাঠাগারের অন্দরমহল বলতে ছিল জল, কাদা, ধুলো আর অন্ধকার। কারণ, গ্রামে বিদ্যুৎ থাকলেও পাঠাগারে সংযোগ ছিল না। এখন অবশ্য সেই সব অতীত। রাজ্য সরকারের অর্থ সাহায্যে নির্মিত হয়েছে দোতলা ভবন। পুরোটাই ঝাঁ চকচকে। নবনির্মিত ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক হবে তো? পাঠাগারের সম্পাদক টোটনবাবু বলেন, “পাঠাগারের রক্ষণাবেক্ষণে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না।” |
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
|
|
|
|
|